দুই বছর আগেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য হত্যার দায়ে মির্জা সাখাওয়াত হোসেন (৫১) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬–এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আজ সোমবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর মির্জা সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১ কোটি টাকা যৌতুকের জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসায় ফাতেমা বেগমকে (৪৫) ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ফাতেমার বড় বোন আরজিনা বেগম বাদী হয়ে রাজধানী মোহাম্মদপুর থানায় মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১-ক ধারায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। তখনই গ্রেপ্তার হন নিহত সাখাওয়াত। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকার আদালতে সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে জমা দেওয়া হয়। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সাইফুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৭ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ফাতেমা বেগমকে নানা কারণে নির্যাতন করতে থাকেন স্বামী সাখাওয়াত। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে এক কোটি টাকা আনতে ফাতেমাকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। ফাতেমা এতে রাজি ছিলেন না। এ কারণে বেশ কয়েক বছর তাঁদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা হয়। ঘটনার দিন মোহাম্মদপুরের বাসায় শিল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন স্বামী সাখাওয়াত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ