অপু বিশ্বাস নীরব, তবু মন্তব্যে ভক্তদের খোঁচা
Published: 4th, August 2025 GMT
নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী—দুজনই এখন নায়ক শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী। তবু এই সিঙ্গেল তারকা মায়েদের নিয়ে ভক্তদের কথার যেন শেষ নেই। এর কারণ, কথা বলার মতো পরিস্থিতি এই দুই নায়িকাই তৈরি করেন। কেউ একজন শাকিবকে নিয়ে কিছু পোস্ট দিলেই পাল্টা পোস্ট দেন আরেকজন। তবে এবার ঘটল ভিন্ন ঘটনা। পরপর শাকিব খানকে নিয়ে বুবলী দুটি ঘটনার জন্ম দিলেও একেবারেই নীরব ছিলেন অপু বিশ্বাস। নিজের মতো করে থাকার চেষ্টা করলেও এই নায়িকাকে একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে ভক্তদের খোঁচা সহ্য করতে হচ্ছে।
দুই নায়িকার ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধের যেন শেষ নেই। অপু বিশ্বাস ও বুবলী—উভয়েই হুটহাট ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন। কখনো অপু বিশ্বাস ইঙ্গিতে শবনম বুবলীকে খোঁচা মারেন। আবার শবনম বুবলীও কম যান না, তিনিও বিভিন্ন সময় কৌশলে অপু বিশ্বাসকে খোঁচা মারেন। এ নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হতেন। এসব নিয়ে সম্প্রতি অনেকটাই চুপ রয়েছেন অপু বিশ্বাস। আবার তাঁর উদ্দেশেও শবনম বুবলীকে তেমন কিছু লিখতে দেখা যায় না।
আরও পড়ুনশাকিব খান ও অপু বিশ্বাস ঢাকার রাস্তায় ছেলের সঙ্গে১০ জুন ২০২৫সন্তানসহ শাকিব ও বুবলী। ছবি: ফেসবুক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’