দুই স্ত্রীকে খুশি রাখা অসম্ভব, শাকিব প্রসঙ্গে জয়
Published: 4th, August 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার মেগাস্টার শাকিব খান। ব্যক্তিগত জীবনে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন আলোচিত-সমালোচিত দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে। যদিও দুটো সংসারই ভেঙে গেছে। এর আগে গণমাধ্যমকে শাকিব জানিয়েছিলেন—অপু-বুবলী দুজনেই তার অতীত। দুজনের কারো সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই।
অপু-বুবলীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকার কথা শাকিব দাবি করলেও মাঝে মধ্যে তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা যায় তাকে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শবনম বুবলী ও পুত্র বীরকে নিয়ে ছুট কাটাচ্ছেন শাকিব খান। যার কিছু ছবি বুবলী তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তারপর থেকে শাকিব-বুবলী চর্চায় পরিণত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চরছেন নেটিজেনরা। এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা-সঞ্চালক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
আরো পড়ুন:
শাকিবের সিনেমা নিয়ে বিভ্রান্তি, মুখ খুললেন প্রযোজক
‘শাকিব খান ফিডার খায় না, বুবলী তাকে তাবিজ করে নাই’
জয় তার স্ট্যাটাসে বলেন, “শাকিব খানের দুই স্ত্রী এবং দুই সন্তান। তিনি সবার প্রতি সমানভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি এমন এক ফ্যাসাদে পড়েছেন দায়িত্ব পালন করলেও খুশি করতে পারছেন না কাউকেই। কারণ অধিকাংশ মানুষ এক স্ত্রীকেই খুশি রাখতে পারে না, সেখানে দুই স্ত্রীকে খুশি রাখা অসম্ভব। তিনি যত বড় স্টার তত বড় মেধাবি না। আবার আমি যত মেধাবি তত বড় স্টার না।”
জয়ের এই পোস্ট ঘিরে সমালোচনার আসর বসেছে কমেন্ট বক্সে। কেউ কেউ জয়ের ভাবনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। অনেকেই শাকিব খানকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন। সাব্বির নামে একজন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লেখেন, “ডিভোর্স হওয়ার পরেও স্ত্রী থাকে কীভাবে ভাই! বিষয়টা আমার গোবুরে মাথায় ঢুকে না, আপনি যদি একটু খুলে দিতেন।” কার্জন নামে একজন লেখেন, “অপু বিশ্বাসকে বলেন তাড়াতাড়ি স্ট্যাটাস দিতে। জাতি অপু বিশ্বাসের স্ট্যাটাস দেখে ঘুমাতে যাবে।”
সমালোচনা কেবল শাকিব-অপু-বুবলীকে কেন্দ্র করেই হচ্ছে না। অনেক শাহরিয়ার নাজিমকেও আক্রমণ করে মন্তব্য করছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র অপ ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
রাবি প্রোভিসির ফেসবুক স্টোরি, শিক্ষক নিয়োগে জামায়াত নেতার সুপারিশ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন খানের ফেসবুক স্টোরিতে শিক্ষক নিয়োগে জামায়াতের সাবেক এমপির সুপারিশ করা প্রবেশপত্র দেখা গেছে। স্টোরি ১৫ মিনিট পরেই ডিলিট করে দেন অধ্যাপক ফরিদ। তবে এটুকু সময়ের মধ্যেই সেই স্টোরির স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে প্রকাশ করা ওই স্টোরিতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের প্রবেশপত্রে জামায়াত সমর্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি মো. লতিফুর রহমান সুপারিশ করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এদিকে ওই প্রার্থীর প্রবেশপত্র ভুলভাবে স্টোরিতে চলে এসেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ফরিদ খান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার ফেসবুক স্টোরিতে একজন আবেদনকারীর প্রবেশপত্র কীভাবে আপলোড হয়েছে বুঝতে পারিনি। তবে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আমার ছেলে বেশ কিছু সময় গেম খেলছিল। তখন হয়তো ভুলবশত স্টোরিতে এসে গেছে।’’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো আবেদনকারী বা তাদের পক্ষে বিভিন্ন সূত্রে সাক্ষাৎ করতে এসে সিভি, প্রবেশপত্র দিয়ে যায়, আবার অনেকে ফোন করে আবেদনকারীর প্রবেশপত্র হোয়াটসঅ্যাপে সেন্ড করে, কেউ টেক্সট করে সুপারিশ পাঠায়। রুয়ার নির্বাচনের সময় একজন অ্যালামনাস যিনি সাবেক এমপি ছিলেন উনার সাথে পরিচয় হয়। কয়েকদিন আগে উনি ফোন করে উনার এলাকার একজন আবেদনকারীর কথা বলেন এবং তার প্রবেশপত্র সেন্ড করেন।’’
শুধু জামায়াত নেতা নন, বিভিন্ন সূত্রে এমন সুপারিশ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘পরিচিত অনেকেই এরকম সুপারিশ করেন। তাদের মধ্যে ছাত্র, শিক্ষক, বন্ধু, সহকর্মী, রাজনীতিক অনেকেই আছেন। এই মুহূর্তে আমার অফিসে এবং মোবাইল ফোনে ডজনখানিক এরকম সুপারিশ আছে। তবে এগুলো কোনোভাবেই লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় প্রভাব ফেলে না।’’
বিষয়টির জন্য অধ্যাপক ড. ফরিদ পোস্টে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আশাকরি বিষয়টি নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না।’’
সুপারিশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীর প্রবেশপত্রে সুপারিশ করা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ওই প্রার্থীর বিষয়ে উপ-উপাচার্যকে ফোন করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, ‘বিগত দিনে ভাইবাগুলোতে অনেক বাজে চর্চা হয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে আমরা এটা চাই না।’’
প্রবেশপত্রে করা সুপারিশ এবং স্বাক্ষর কার জানতে চাইলে অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, ‘‘যেভাবে স্টোরিতে থাকা ওই প্রবেশপত্র দেখা গেছে, আমার কাছে ওভাবেই এসেছিল। যিনি পাঠিয়েছেন তার লেখা কি না আমি নিশ্চিত নই।’’
রাজশাহী/ফাহিম//