আড়াইহাজারর তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উপলক্ষ্যে পুষ্প ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে  কালীবাড়ি শাখায় শনিবার বিকালে আলোচনা সভা ও পরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি  পালন করা হয়ে।

পুষ্প ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোসাঃ সালমা আক্তারের  সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  হিসেবে উউপস্থিত ছিলেন  মোহাম্মদ বিল্লাহ হোসেন,উপজেলা সমবায় অফিসার, আড়াইহাজারf

প্রধান আলোচক হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদেমুল ইসলাম, সম্পাদক, পুষ্প ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও নির্বাহী পরিচালক,  পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশন। বিশেষ অতিথি  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, এডমিন এন্ড ম্যানেজার,আজান ট্রেড ইন্টার ন্যাশনাল লিঃ, মোঃ ইয়ার খান, সভাপতি, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি,সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপি, মোঃ মেহেদী হাসান, ইংরেজি লেকচারার, জজ ভূইয়া কলেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন পুষ্প ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি ও পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশনের সদস্য ও কর্মকর্তা বৃন্ধ। আলোচনা সভা ও বৃক্ষ বিতরনের পর বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বক্তারা  বলেন আজকের পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার সংকটে জর্জরিত। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আমাদের পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। একটি গাছ মানে শুধু সবুজ নয়—এটি অক্সিজেন, এটি ছায়া, এটি জীবনের আশ্রয়।

তবে আজকের আয়োজন শুধু বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নয়, এটি আমাদের মানসিক ও সামাজিক জাগরণের একটি উদ্যোগ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তরুণদের মাঝে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই—তোমরা শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজ, পরিবেশ ও আগামী প্রজন্মের জন্যও দায়িত্ববান হও।

তরুণরাই পরিবর্তনের প্রধান হাতিয়ার। তারা যদি দায়িত্ব নেয়, তাহলে একটি সমাজ বদলে যেতে পারে, একটি দেশ এগিয়ে যেতে পারে। আমরা চাই—এই উৎসব হোক তাদের মধ্যে মানবিকতা, নেতৃত্ব, ও সামাজিক সচেতনতার বীজ বপনের একটি মঞ্চ।

প্রধান  আলোচক খাদেমুল ইসলাম  বলেন,পুষ্প সোস্যাল ফাউন্ডেশন ও পুষ্প ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা একটি টেকসই, উন্নয়নমুখী, ও সচেতন সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  তরুণদের বলি— তোমরাই আগামীর পথপ্রদর্শক, গাছ লাগাও, সমাজ গড়ো, নেতৃত্বে আসো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প ষ প ক ষ দ র ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক