রাজশাহীতে বরাদ্দ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় জুলাইযোদ্ধাদের বিক্ষোভ
Published: 5th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ভাড়া করার বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় তারা বিক্ষোভ করেছেন। এদের একাংশ রেললাইনের ওপরে বসে পড়েন, কেউ আবার শুয়েও পড়েন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে রাজশাহী থেকে ট্রেন চলাচল প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে।
জুলাইযোদ্ধারা বনলতা ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো আন্তঃনগর ট্রেন চাচ্ছিলেন। বরাদ্দ করা বিশেষ ট্রেনটি ছিল অন্য ট্রেন। এ নিয়ে যারা ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা অন্যদের তোপের মুখে টিকতে না পেরে রেললাইন ছেড়ে দেন। পরে ৩৫ আন্দোলনকারীকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিল্কসিটি ট্রেনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, জুলাইযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ টাকা ভাড়া দিয়ে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই ট্রেনে ৫৪৮টি আসন রয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন থেকে তাদের ওঠার কথা। রাজশাহী থেকে ২০০ থেকে ২৫০ জন যাত্রী ওই ট্রেনে ঢাকায় গেছেন।
ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে বাংলা ট্রেন দেখে জুলাইযোদ্ধাদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। তারা আন্তঃনগর বনলতা ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো ট্রেনের দাবি করেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, যে রকম ট্রেন দেওয়া হয়েছে সেই রকম ভাড়াই তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন নিতে হলে তাদের আরও বেশি ভাড়া দিতে হতো। কিন্তু তারা বরাদ্দ করা ট্রেনে উঠতে চাননি। তারা ট্রেনের সামনে বসে পড়েন।
তবে বেশিরভাগ জুলাইযোদ্ধা ট্রেনের উঠে পড়েছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা রেললাইন থেকে উঠে পাশের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েন। বিশেষ ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। অবশেষে সেটি ৮টা ১৩ মিনিটে রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
এই কারণে সিল্কসিটি ট্রেনটিও নির্ধারিত সময় রাজশাহী থেকে ছাড়া সম্ভব হয়নি। এই ট্রেনটি ৪৫ মিনিটে বিলম্বে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যায়।
স্টেশন মাস্টার শহীদুল আলম বলেন, ‘‘তারা যেমন ভাড়া দিয়েছেন তাদের জন্য আমাদের কর্তৃপক্ষ সেইরকম ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। এখন তাদের কয়েকজন এসে আন্তঃনগর বনলতা ও সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো ট্রেন দাবি করে বসলেন। এই নিয়ে ট্রেন ছাড়তে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। যারা বিশেষ ট্রেনে যাননি তাদের ৩৫ জনকে অন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হয়েছে।”
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘‘ট্রেনগুলো সরকার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভাড়া নিয়েছে। ট্রেন স্থানীয়ভাবে ভাড়া করা নয়। সেটা বোঝানো হয়েছে।’’
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ ট র নট র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ট্রেন পছন্দ হয়নি, ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বসে পড়লেন রেললাইনে
রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার জন্য সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় তাঁদের একাংশ রেললাইনের ওপরে বসে পড়েন। কেউ আবার শুয়ে পড়েন। তাঁরা বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো আন্তনগর ট্রেনে করে ঢাকা যেতে চাইছিলেন। বিশেষ ট্রেনটিতে ছিল লোকাল ট্রেনের বগি। এ নিয়ে যাঁরা ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা অন্যদের তোপের মুখে টিকতে না পেরে রেললাইন ছেড়ে দেন। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৩৫ জন আন্দোলনকারীকে আলাদাভাবে সিল্কসিটি ট্রেনে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছাত্র-জনতার জন্য ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১ টাকা ভাড়া দিয়ে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। এই ট্রেনে ৫৪৮টি আসন আছে। বিভিন্ন স্টেশন থেকে যাত্রীদের ওঠার কথা। রাজশাহী থেকে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী ওই ট্রেনে ঢাকায় গেছেন। ট্রেনটি সকাল ৭টা ২০ মিনিটে রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্টেশনে গিয়ে লোকাল ট্রেনের বগি দেখে নিজেদের জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দেওয়া একদল ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা আন্তনগর বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো ট্রেনের দাবি করেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে, যে রকম ট্রেন দেওয়া হয়েছে, সে রকম ভাড়াই সরকারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেন নিতে হলে আরও বেশি ভাড়া দিতে হতো। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ওই ট্রেনে উঠতে নারাজ। তাঁরা ট্রেনের সামনে বসে পড়েন। অনেকেই শুয়ে পড়েন।
সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় একজনকে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়তে দেখা যায়। আজ সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে