প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সাপের দংশনে মৃত্যুর ঘটনা নেহাত কম নয়। শুধু বর্ষায় নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবর প্রায়ই শোনা যায়। এসব অঞ্চলে সচেতনতার অভাব, কুসংস্কার এবং আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণে অনীহার প্রবণতা লক্ষণীয়। অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে ওঝা বা কবিরাজের শরণাপন্ন হন, যার ফলে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
দুঃখজনক হলেও সত্য, হাসপাতালগুলোতে এখনো অ্যান্টিভেনমের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। পাশাপাশি নেই কোনো সুসংহত পরিকল্পনা। সাপে দংশন নিয়ে সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন ভুল ধারণাও মানুষকে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
সাপে দংশনে মৃত্যুহার কমাতে হলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। বিষধর সাপের অ্যান্টিভেনম সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামভিত্তিক ক্লিনিক ও সরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিভেনমের মজুত বাড়াতে হবে। সর্বোপরি গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা প্রতিরোধ সম্ভব।
উম্মে সাবাইনা সুলতানা
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭০ শতাংশ নির্বাচন সামগ্রী কেনাকাটা সম্পন্ন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, “আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচন সামগ্রীর ৭০ শতাংশ কেনাকাটা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সিনিয়র সচিব জানান, মার্কিং সিল, গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, হেসিয়ান ব্যাগসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন সামগ্রী এরইমধ্যে ইসির গুদামে পৌঁছেছে। চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অবশিষ্ট সামগ্রী সরবরাহ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, “প্রায় ৭০ শতাংশ কেনাকাটার কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বরে অবশিষ্ট কেনাকাটাও শেষ হবে। চাহিদা অনুযায়ী সব সামগ্রী সময়মতো পৌঁছে যাবে।”
তিনি জানান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) থেকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী— স্ট্যাম্প প্যাড ও অমোচনীয় কালি সরবরাহ করা হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই সামগ্রী হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউএনডিপি। এর একটি অংশ চলতি মাসেই আসবে এবং বাকিটা আগামী মাসে।
তিনি বলেন, “স্থানীয় বাজার থেকে আট ধরনের সামগ্রী সংগ্রহ করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে- গালা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ ও গানি ব্যাগ।
সচিব আশ্বস্ত করে বলেন, “নির্বাচন সামগ্রী নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা যে সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলাম, সেই সময়ের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারব। নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ে সব নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে।”
ইসির ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন সামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে থাকবে- ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিল, কালি ও ভোট গ্রহণের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ।
সচিব বলেন, “সময়মতো সামগ্রী পৌঁছানো গেলে নির্বাচন পরিচালনায় কোনো ধরনের বাধা তৈরি হবে না। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
ঢাকা/এএএম/এস