‘কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাটিতে বন্যার আশঙ্কা নেই’
Published: 5th, August 2025 GMT
কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) মধ্যরাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রেখে ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেখানে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
উভয় দিক দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৪১ হাজার কিউসেক পানি। এতে ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা।
কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নুরুল মিয়া বলেছেন, এমনিতেই কর্ণফুলী নদীতে পানির পরিমাণ বেশি। তার ওপর কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হয়েছে। এতে আমরা আতঙ্কে আছি। খবর পেলাম, এখন ৬ ইঞ্চি খোলা হয়েছে। যদি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে তবে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। তাই, পানি ছাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেছেন, যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। এখন খোলা হয়েছে ৬ ইঞ্চি, আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে, এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যেন ৩ ফুটের বেশি খুলতে না হয়।
তিনি জানান, গতকাল মধ্যরাতে যখন কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলা হয়, তখন পানির স্তর ছিল ১০৮.
ঢাকা/শংকর/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র এল ক য় পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’