কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) মধ্যরাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। এছাড়া, কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রেখে ২২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেখানে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৩২ হাজার কিউসেক পানি। 

উভয় দিক দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে ৪১ হাজার কিউসেক পানি। এতে ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এসব এলাকায় বসবাসকারী মানুষরা। 

কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী নুরুল মিয়া বলেছেন, এমনিতেই কর্ণফুলী নদীতে পানির পরিমাণ বেশি। তার ওপর কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া হয়েছে। এতে আমরা আতঙ্কে আছি। খবর পেলাম, এখন ৬ ইঞ্চি খোলা হয়েছে। যদি এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে তবে আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। তাই, পানি ছাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেছেন, যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে, তাতে কোনো অবস্থাতেই ভাটি এলাকায় বন্যার আশঙ্কা নেই। এখন খোলা হয়েছে ৬ ইঞ্চি, আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললে বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে, এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যেন ৩ ফুটের বেশি খুলতে না হয়। 

তিনি জানান, গতকাল মধ্যরাতে যখন কাপ্তাই বাঁধের গেট খোলা হয়, তখন পানির স্তর ছিল ১০৮.

০৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ছয় ইঞ্চি পানি ছাড়ার পরও সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর বেড়ে ১০৮.১২ এমএসএল হয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে হয়তো গেট খোলার পরিমাণ আরেকটু বাড়তে পারে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র এল ক য় পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট

তৃতীয় দফায় কাপ্তাই বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার ১১ দিন পর হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাঁধের সবকটি জলকপাট।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছায় গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় পানি ছাড়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

পরবর্তীতে পানির স্তর কিছুটা কমে আসায় শুক্রবার সকাল আটটায় সবকটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এখনো কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। 

কর্ণফুলী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, “উজান থেকে পানির ঢল কমে আসায় এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ সব বিষয় চিন্তা করে বাঁধের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর রয়েছে ১০৮.২২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদে সবোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে পানির স্তর আরো কমে আসবে।

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রথম দফায় গত ৫ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সবকটি গেট এক সপ্তাহ পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এরপর ২০ আগস্ট আবারো হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছলে জলকপাট তিন দিন খোলা রাখা হয়।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবারো বন্ধ করে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট