মধ্যরাতে খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট
Published: 5th, August 2025 GMT
কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেটের সব কয়টি ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২.০৫ মিনিটে গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে তিন দফা সময় পরিবর্তন করে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল নয়টায় গেট খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়।
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “বাঁধের গেট সবশেষ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় খোলার সময় নির্ধারণ করা হলেও রাতেই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করেছে। যা বিপৎসীমার কাছাকাছি হওয়ায় উজান ও ভাটি এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে সোমবার দিবাগত রাত ১২.
তিনি বলেন, “পানি ছাড়ার কারণে ভাটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।”
হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।”
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে মোট ৪১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নির্গত হচ্ছে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২২০ মেগাওয়াট।
ঢাকা/শংকর/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ৩৭টি রুগ্ন ঘোরা ও ৫ মণ মাংস জব্দ
গাজীপুরের হায়দ্রাবাদ এলাকার একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে পাঁচ মণ ঘোড়ার মাংস জব্দ করেছে প্রশাসন। এ সময় সেখান থেকে রুগ্ন ৩৭টি ঘোড়া উদ্ধার করা হয়। ভেটেনারি হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশ রুগ্ন এবং মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব-১ যৌথভাবে অভিযান চালান।
আরো পড়ুন:
৬ বাসে মিলল ৩৫ মণ জাটকা, চালকদের জরিমানা
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১
গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, জবাই করে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যেই ঘোড়াগুলো এখানে আনা হয়েছিল। যেহেতু, ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি, সে কারণে উদ্ধারকৃত ঘোড়া এবং জব্দকৃত মাংস স্থানীয় একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সেগুলো গাজীপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তার করা হবে।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন হারুন রোমান জানান, ঘোড়াগুলোর অধিকাংশ রুগ্ন এবং ঘোড়ার মাংসে টক্সিন রয়েছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘোড়ার মাংস ক্রয় এবং খাওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন তিনি।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ