শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে : সাখাওয়াত
Published: 5th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে বিজয়ের এই দিনে যারা শহীদ হয়েছে তাদেরকে আমি শ্রদ্ধাভরে করে স্মরণ করছি। পাশাপাশি আমরা সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।
গত ১৬ বছরে এই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার হাতে যত বিএনপির নেতা কর্মী নিহত হয়েছে সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিএনপির গতানুগতিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বন্দর উপজেলার তিনগাঁও স্ট্যান্ড আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বন্দর উপজেলা বিএনপির আয়োজিত বিজয় র্যালি পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আজকের এই দিনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতন স্বাধীন হয়েছিল। সেই স্বাধীনতার মূল কাজই হল বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করা। গণতন্ত্রকে যদি প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তাহলে আমাদের ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান সেটা সফল হবে না।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সকল বিষয়গুলো ছিল সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি ও অবিচার দূর করতে হবে। সকল প্রকার বৈষম্যকে জ্বলনতি দিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদেও বিচার বাংলার মাটিতে করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কালে যারা হত্যার হলি খেলেছিল তাদেরকে আইনের মুখোমুখি করে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা সকল প্রকার বৈষম্য অনিয়ম ও দুর্নীতি দমন করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্যথায় ওই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবারো বিপন্ন করবে। আবারো স্বৈরাচার কায়েম করার চেষ্টা করবে। দেশি-বিদেশি যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তার জন্য আমাদের নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পাশাপাশি বন্দর উপজেলা, বন্দর থানা, সদর থানা, প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে পাড়ায় মহল্লায় ফ্যাসিসদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ লিটনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফহেত মোহাম্মদ রেজা রিপন, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, হুমায়ূন কবির, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানাসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ব এনপ র স দর থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই নিতে হবে : খেলাফত মজলিস
জুলাই সনদের আইনিভিত্তিসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত সারাদেশে সকল মহানগরীতে বিক্ষোভ মিছিল পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেন- জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছিল ফ্যাসিবাদীদের বিচার, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখলাম সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয় পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের হাতে ছেড়ে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।
একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি এখনো সাধিত হয়নি। জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এখনো ঘোষণা হয়নি। অথচ খুনী ফ্যাসীবাদী হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবী।
নেতৃবৃন্দ বলেন- ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ ছাড় দিয়ে হলেও অনেকগুলো বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
এখন যদি সংস্কার পূর্ণাঙ্গ না করা যায় তাহলে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় যারা আসবেন তারা এসব বিষয় যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে কিনা সে বিষয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে।
তাই অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকেই জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। অতি দ্রুত জুলাই সনদ ঘোষণা করে তা কার্যকর করতে আইনী ভিত্তি প্রদান করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন- আমরা লক্ষ্য করলাম অন্তর্র্বতী সরকার জনপ্রত্যাশার বিপরীতে গিয়ে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গান-নাচের শিক্ষক নিয়োগে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করেছে। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবী দীর্ঘ দিনের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
আমরা অবিলম্বে উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, বিচার কার্যক্রম দৃশ্যমান, ফ্যাসিবাদী দল ও দোসরদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ,ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ আওলাদ, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রমুখ।