নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার ছেঁছরাখালী বাজারের পাশে ধলাই নদে স্রোতের টানে বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে যায়। এ সময় নৌযানে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হন দুই জন।

নিহত দুই শ্রমিক হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার জিয়া (২০) ও মারুফ (২৪)। মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

পুকুরে ডুবে নিখোঁজ, ১৩ ঘণ্টা পরে মিলল লাশ

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

তিনি বলেন, ‘‘বাল্কহেড ডুবির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ দুই শ্রমিককে উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। পরে ধোবাউড়া ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি দল উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। পরে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের ভেতরে থাকা বালু ড্রেজার দিয়ে সরানো হলে দুইজনের লাশ পাওয়া যায়।’’

ঢাকা/ইবাদ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে খণ্ডকালীন শিক্ষক স্মরণ তালুকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্কুল চলাকালীন নবম শ্রেণির ক্লাসে শিক্ষক স্মরণ তালুকদার তিন ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন। এতে তারা আহত হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে খণ্ডকালীন পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’

অভিযুক্ত শিক্ষক স্মরণ তালুকদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এম এ কাদের বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইবাদ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি