পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। এত দিন পাম তেলের দাম ছিল লিটারে ১৬৯ টাকা, তবে সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাম তেলের দাম কমানোর তথ্য জানান বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান।

বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আপনারা শুধু তেলের মূল্যবৃদ্ধি হতে দেখেন; এবার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় পাম তেলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু কাঁচামালের দাম না কমায় সয়াবিন তেলের দাম কমেনি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৯ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা আর পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির চিন্তাভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারত থেকে নয়, উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যেখান থেকে সস্তায় পাওয়া যাবে, সেখান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, চাহিদা ও জোগানের সমন্বয়ে আমদানি করা হবে। পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে পণ্য খাতে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার আর সেবা খাতে ৮৫০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ৫৭৮ কোটি ডলার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ল র দ ম কম য় জ আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা  সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। 

সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।

এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেসরকারি ঋণ তলানিতে, তবে ঋণপত্র খোলায় গতি
  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 
  • ২৯ দিনে প্রবাসী আয় ২৪৩ কোটি ডলার