ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বল হাতে আস্তে আস্তে নিজেকে মেলে সাকিব আল হাসান। তবে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংও অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে জয় উপহার দিতে পারল না। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অ্যান্টিগাকে।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধাক্কা খায় ফ্যালকনস। ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল ও করিমা গোর দ্রুত বিদায় নিলে চাপ বাড়ে। জুয়েল অ্যান্ড্রুর ৩১ বলে ৪০ রানে কিছুটা আশা জাগলেও মিডল অর্ডারে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা চলতেই থাকে। সাকিব নিজেও বড় কিছু করতে পারেননি, ১৪ বলে ১৩ রানেই থেমে যান। তবে শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিমের ২৫ বলে ৩৭ আর উসামা মিরের ২৬ বলে ৩৪ রানে কোনোমতে ১৪৬ রানে পৌঁছায় দলটি।

আরো পড়ুন:

সাকিবের প্রতিষ্ঠানসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

৫০০ ছুঁয়ে সাকিবের রেকর্ডময় ‘ডাবল’, অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে হলেন ম‌্যান অব দ‌্য ম‌্যাচ

প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণে দারুণ ছিলেন মোহাম্মদ আমির। ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আন্দ্রে রাসেল ও আকিল হোসেনও নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়ে ব্যাট করতে নেমেই শুরুতে সাকিবের বলে আউট হন কলিন মানরো। কিন্তু এরপর অ্যালেক্স হেলস ও কেসি কার্টির জুটিতে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় নাইট রাইডার্স। দুজন মিলে গড়েন ৮৭ রানের পার্টনারশিপ। হেলস খেলেন ক্যারিয়ারের ৮৮তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি, যা তাকে সর্বাধিক ফিফটি করা খেলোয়াড়দের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে তুলেছে। ইনিংস শেষের আগে নিকোলাস পুরান ঝড় তুলেন। ১১ বলে ২৩ রান করে সহজেই ম্যাচ জেতান দলকে।

অবশেষে ৮ বল হাতে রেখে আরামদায়ক ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। অ্যান্টিগার হয়ে সাকিব নেন ১ উইকেট, জেইডেন সিলস শিকার করেন আরেকটি।

এ হারের পরও ৭ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে এখনো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। তবে তাদের তুলনায় কম ম্যাচ খেলে পিছনে চাপ তৈরি করেছে প্রতিপক্ষ দলগুলো। ত্রিনবাগো ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ