নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেও দলের হার এড়াতে পারলেন না সাকিব
Published: 28th, August 2025 GMT
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বল হাতে আস্তে আস্তে নিজেকে মেলে সাকিব আল হাসান। তবে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংও অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসকে জয় উপহার দিতে পারল না। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে অ্যান্টিগাকে।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধাক্কা খায় ফ্যালকনস। ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল ও করিমা গোর দ্রুত বিদায় নিলে চাপ বাড়ে। জুয়েল অ্যান্ড্রুর ৩১ বলে ৪০ রানে কিছুটা আশা জাগলেও মিডল অর্ডারে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা চলতেই থাকে। সাকিব নিজেও বড় কিছু করতে পারেননি, ১৪ বলে ১৩ রানেই থেমে যান। তবে শেষদিকে ইমাদ ওয়াসিমের ২৫ বলে ৩৭ আর উসামা মিরের ২৬ বলে ৩৪ রানে কোনোমতে ১৪৬ রানে পৌঁছায় দলটি।
আরো পড়ুন:
সাকিবের প্রতিষ্ঠানসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
৫০০ ছুঁয়ে সাকিবের রেকর্ডময় ‘ডাবল’, অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ
প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণে দারুণ ছিলেন মোহাম্মদ আমির। ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। আন্দ্রে রাসেল ও আকিল হোসেনও নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়ে ব্যাট করতে নেমেই শুরুতে সাকিবের বলে আউট হন কলিন মানরো। কিন্তু এরপর অ্যালেক্স হেলস ও কেসি কার্টির জুটিতে ম্যাচ পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় নাইট রাইডার্স। দুজন মিলে গড়েন ৮৭ রানের পার্টনারশিপ। হেলস খেলেন ক্যারিয়ারের ৮৮তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি, যা তাকে সর্বাধিক ফিফটি করা খেলোয়াড়দের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে তুলেছে। ইনিংস শেষের আগে নিকোলাস পুরান ঝড় তুলেন। ১১ বলে ২৩ রান করে সহজেই ম্যাচ জেতান দলকে।
অবশেষে ৮ বল হাতে রেখে আরামদায়ক ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। অ্যান্টিগার হয়ে সাকিব নেন ১ উইকেট, জেইডেন সিলস শিকার করেন আরেকটি।
এ হারের পরও ৭ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে এখনো পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। তবে তাদের তুলনায় কম ম্যাচ খেলে পিছনে চাপ তৈরি করেছে প্রতিপক্ষ দলগুলো। ত্রিনবাগো ৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক ব আল হ স ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন