ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দপ্তরে হামলার ঘটনায় রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

কিয়েভে বুধবার রাতভর বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। এতে তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় দারনিটস্কি জেলায় একটি পাঁচতলা ভবন ধসে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দনিপ্রো জেলায় একটি বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিস ছিল একটি ভবনেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে হামলায় জোটের দপ্তরের কোনো কর্মী হতাহত হয়নি। কিয়েভে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলেও হামলা হয়েছে। এতে এক নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা ক্যালাস জানিয়েছেন, এই হামলা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে রাশিয়া ‘শান্তি প্রচেষ্টাকে আরো ব্যাহত করতে এবং উপহাস করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” তিনি রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলবের কথাও জানিয়েছেন।

এদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, মস্কোর হামলায় “বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং কিয়েভে অবস্থিত ইইউ প্রতিনিধিদলও রয়েছে। আমরা রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছি। হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ