বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আইসিটি কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হুড়কা ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর হুড়কা ইউনিয়নের ছাড়াখালী গ্রামের আকরাম শেখের ছেলে মোহাম্মদ আলী শেখ তার এক আত্মীয়ের ভোটার তালিকা স্থানান্তরের কাজের জন্য ইউপি কার্যালয়ে যান। প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র না থাকায় তাকে সেগুলো সংগ্রহ করে আনতে বলা হয়। এতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে পরিষদ ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদ আলী পুনরায় ইউপি কার্যালয়ের আইসিটি কক্ষে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া শুরু করেন এবং টেবিলের উপর থাকা কম্পিউটার ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। এ সময় তিনি উদ্যোক্তা তীলক মণ্ডল ও রুনু বিশ্বাসকে হুমকি দিয়ে গালাগাল করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এতে উদ্যোক্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তামান্না ফেরদৌসকে অবহিত করেন।

হুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহিদুর রহমান বলেন, ‘‘ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেবা নিতে আসেন। তাদের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে উদ্যোক্তারা নিরলস চেষ্টা করেন। এভাবে কর্মচারীদের ওপর হামলা ও সরকারি সরঞ্জাম ভাঙচুর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এ ঘটনায় আতঙ্কিত। দোষীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে যান এই প্রতিবেদক। তবে, তাকে পাওয়া যায়নি।

রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘‘ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ