এশিয়া কাপে গর্বের মুহূর্ত: বাংলাদেশের দুই আম্পায়ার মাঠে দায়িত্বে
Published: 8th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের জমজমাট আসর শুরু হচ্ছে আগামীকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এবারের ১৭তম আসরে আম্পায়ারিং দায়িত্বে থাকছেন বাংলাদেশের দুই পরিচিত মুখ- গাজী সোহেল ও মাসুদুর রহমান মুকুল। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আজ গ্রুপ পর্বের ম্যাচ পরিচালনার জন্য আম্পায়ারদের তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে এই দুই বাংলাদেশি আম্পায়ারের নাম উঠে এসেছে গর্বের সাথে।
মোট দশজন আম্পায়ার এবারের আসরে দায়িত্ব পালন করবেন। সোহেল ও মুকুল ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের আসিফ ইয়াকুব ও ফয়সাল আফ্রিদি, শ্রীলংকার রবীন্দ্র বিমলাসিরি ও রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে, আফগানিস্তানের আহমদ পাকতিন ও ইজাতুল্লাহ সাফি, ভারতের রোহান পণ্ডিত ও বিরেন্দার শর্মা।
আরো পড়ুন:
এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচ দিয়ে
রেকর্ড হারের পর জরিমানাও গুনল দ.
এবার ম্যাচ রেফারি হিসেবে থাকছেন অভিজ্ঞ দুই আন্তর্জাতিক মুখ—জিম্বাবুয়ের এন্ড্রু পাইক্রফট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা রিচি রিচার্ডসন। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মহারণে সবার চোখ থাকবে। এই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের মাসুদুর রহমান মুকুল এবং শ্রীলংকার রুচিরা পল্লিয়াগুরুগে। ওই ম্যাচে টিভি আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকবেন আফগানিস্তানের আহমদ পাকতিন ও ইজাতুল্লাহ সাফি, আর ম্যাচ রেফারি থাকবেন পাইক্রফট।
তবে সুপার ফোর ও ফাইনাল পর্বের অফিসিয়ালদের নাম এখনো প্রকাশ করেনি এসিসি।
এশিয়া কাপের এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে মোট আটটি দল। ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান ও হংকং। আবুধাবিতে আগামীকাল উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও হংকং। আর ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসবে টুর্নামেন্টের রোমাঞ্চকর ফাইনাল।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন আম প য় র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব