Risingbd:
2025-11-03@11:30:52 GMT

জলে গেল পান বরজ ও শ্মশান ঘাট!

Published: 9th, September 2025 GMT

জলে গেল পান বরজ ও শ্মশান ঘাট!

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মার ভাঙনে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত শ্মশানঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮০-৯০ জন পান চাষি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আরকান্দি ও মাধবপুরে গত চারদিন ধরে পদ্মা নদীতে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

দুই মাসে পদ্মার পেটে ২০০ হেক্টর জমি

উজানের পানিতে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকা প্লাবিত

জানা গেছে, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা রায়টা-মহিষকুন্ডি বেড়িবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। হুমকিতে রয়েছে বসতবাড়ীসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এই নিয়ে এই অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের আতঙ্কে দিন কাটছে। যেকোনো সময় বড় রকমের বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

অপরদিকে, মাধবপুরের ভাঙন কবলিত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তিক চাষিদের পান বরজ। গত কয়েক দিনের ভাঙনে ৮০-৯০ জন পান চাষির প্রায় ৩ হাজার সারি পান বরজ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া এ অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশানঘাটটি নদীতে হারিয়ে গেছে।

ওই এলাকার আমিরুল আলী নামের এক কৃষক জানান, তার ভাই আরজেত আলী ও তার ছেলেদের ৭-৮ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখানে প্রায় ৮০০ সারি পানের বরজ ছিল। একমাত্র উপার্জনের জায়গা হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

মবির পন্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির, আনেজ, আজগর, আবু শিহাবরা ১০০ সারি করে পানের বরজ হারিয়েছেন।

পানচাষি আবুল হোসেন বলেন, “মাধবপুর এলাকায় গত ২ বছর আগে এসব বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এবার আবার পদ্মা নদী গিলে খেল। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায় হয়ে পড়েছি।”

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, “বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি। শীঘ্রই সেখানে পরিদর্শন করব। আর বসতবাড়ী থাকার কারণে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে কাজ শুরু হবে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা সুলতানা বলেন, “পদ্মার ভাঙনে পান চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের প্রায় ৩০০ সারি পান বরজ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।”

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, “পদ্মা নদীতে ভাঙনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ ব ল ন হয় প ন বরজ

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ

একদল তরুণ ও যুবক বালতি হাতে দৌড়াচ্ছেন। কিছু একটা তুলছেন আর ছুড়ে মারছেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে।

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামে এভাবে ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিবদমান দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

এর আগে এ বছরের ৫ এপ্রিল ঠিক একইভাবে বিলাসপুর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

জাজিরা থানা সূত্র জানায়, জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাসির উদ্দিন ব্যাপারী এবং একই এলাকার তাইজুল ইসলাম ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ আছে। দুজনই বিলাসপুরের চেরাগ আলী ব্যাপারীকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। নাসির উদ্দিন বিলাসপুরের চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং তাইজুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল জলিল মাতবরের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ ওই দুই পক্ষের লোকজন গ্রামের দুটি স্থানে অবস্থান নিয়ে একে অপরের ওপর ককটেল ছুড়ে মারেন। তাঁরা দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন অন্তত ৬০-৭০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

দুই পক্ষের সমর্থকদের বসতবাড়িতেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে বালতি থেকে ককটেল ছুড়তে ছুড়তে সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ