Narayanganj Times:
2025-11-03@07:24:50 GMT

বিকেএমইএকে লিগ্যাল নোটিশ

Published: 10th, September 2025 GMT

বিকেএমইএকে লিগ্যাল নোটিশ

বাংলাদেশ নীটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা নামে বিকেএমইএর চাকুরীচ্যুত একজন কর্মচারীর পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট সানজিদা আক্তার এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে তিনি উল্লেখ্য করেন, এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা ২০০৯ সালের ১৯ জুলাই বিকেএমইএতে "ফায়ার ইন্সট্রাক্টর" হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১ আগস্ট ২০০৯ যোগদান করেন। বিকেএমইএতে  কর্মরত অবস্থায় এ কে এম আতিকুল হক ভুঞা পদোন্নতি পেয়ে সর্বশেষ সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি (ফায়ার)" হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার সর্বশেষ মাসিক বেসিক বেতন ছিল ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং মোট মজুরী ৪৭ হাজার ১২০ টাকা।

তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, আমার মোয়াক্কেল এ কে এম আতিকুল হক ভুঞার চাকুরীর রেকর্ড সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন। আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গিয়ে দীর্ঘ সময়ে আমার মোয়াক্কেলের কাজের দ্বারা আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়নি। আমার মোয়াক্কেলের সার্ভিস রেকর্ড অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কখনো উপস্থাপিত হয়নি।

আমার মোয়াক্কেল কোন প্রশাসনিক তদরতি বা ব্যবস্থাপনামূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন না বিধায় তিনি বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ২(৬৫) মোতাবেক একজন শ্রমিক এবং আইনের সংশ্লিষ্ট সকল সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী।

আপনার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় আমার মোয়াক্কেলকে বিগত ৫-৭-২০২৫ইং তারিখ ইস্যুকৃত একপত্রের মাধ্যমে আমার মোয়াক্কেলের কর্মরত ফায়ার সেল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে চাকুরী হতে টার্মিনেট করা হয়।

আপনার প্রতিষ্ঠানের এহেন নোটিশের জবাব আমার মোয়াক্কেল বিগত ১২-৭-২০২৫ইং তারিখে লিখিতভাবে আপনার প্রতিষ্ঠানে জমা প্রদান করলেও আপনার প্রতিষ্ঠান হতে বিগত ২৮-৭-২০২৫ইং তারিখে ইস্যুকৃত একপত্রের মাধ্যমে আমার মোয়াক্কেলকে পেইড লিভ এর নোটিশ প্রদান করা হয়।

আমার মোয়াক্কেলকে তার বকেয়া মজুরী ও অন্যান্য পাওনাদি অবিলম্বে পরিশোধ করতে আপনাকে এতদ্বারা অনুরোধ করা হল।

আমার মোয়াক্কেলের বকেয়া পাওনার বিবরণ নিম্নরূপঃ

ক.

নোটিশ পে, ১২০ দিনের ১ লক্ষ ১৫ হাজার ২০০ টাকা,

খ. সার্ভিস বেনিফিট ১৬ বছরের (প্রতি বছরের জন্যে ৪৫ দিন করে) ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ২০০ টাকা,

গ. প্রভিডেন্ট ফান্ড এর ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৮৩ টাকা,

ঘ. ছুটির টাকা (৪০ দিনের) ৬২ হাজার ৮২৬ টাকা মোট বকেয়ার পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৫ হাজার ৬০৯ টাকা।

এমতাবস্থায়, অত্র নোটিশের মাধ্যমে আপনাকে অবগত করা যাচ্ছে যে, আমার মোয়াক্কেলের বর্ণনা মোতাবেক তার বকেয়া সকল পাওনাদি অত্র নোটিশ প্রাপ্তির পর ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পরিশোধের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হইল।

অন্যথায় আমার মোয়াক্কেল বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবে এবং এর জন্য সৃষ্ট পরিণতির দায় আপনাকেই বহন করিতে হইবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আম র ম য় ক ক ল র দ ন কর আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর শহরে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)–এর কাছ থেকে পালিয়ে আসা ক্ষুধার্ত এবং নির্যাতিত মানুষেরা বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতাগুলো বর্ণনা করছেন। তবে তাঁরা পালাতে পারলেও হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

উত্তর দারফুরের রাজধানী এল-ফাশের শহর ছিল রাজ্যটিতে সুদানি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ ঘাঁটি। গত রোববার আরএসএফ বাহিনী এটির দখল নেয়। এরপর থেকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা স্থানীয় মানুষের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এরই মধ্যে দারফুরে ধর্ষণ, মুক্তিপণ ও গণহত্যাসহ অন্যান্য নির্যাতনের কথা সামনে আসছে।

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইসমাইল বলেন, ‘খার্তুমের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সঙ্গে পড়াশোনা করেছেন এমন একজন তরুণ সেখানে ছিলেন। তিনি তাঁদের বললেন, “ওকে হত্যা করো না”। এরপর তাঁরা আমার সঙ্গে থাকা সব তরুণ ও আমার বন্ধুদের হত্যা করেন।’

তাবিলা এলাকায় পালিয়ে আসা অন্য নাগরিকেরাও তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তেমনই একজন তাহানি হাসান। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই তাঁরা সেখানে হাজির হলেন। কোথা থেকে এলেন জানি না। ভিন্ন ভিন্ন বয়সী তিন তরুণকে দেখা গেল। তাঁরা আকাশে গুলি ছুড়লেন এবং বললেন, ‘থামো, থামো’। তাঁরা আরএসএফের পোশাকে ছিলেন।’

আলখেইর ইসমাইল নামের এক সুদানি তরুণ দারফুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরের তাবিলা শহরে পালিয়ে এসেছেন। আলখেইর বলেছেন, রোববার এল-ফাশের থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় ৩০০ জনকে আটক করে আরএসএফ। তিনিও ওই দলে ছিলেন। তবে আটককারীদের একজন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পরিচিত ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাহানি হাসান বলেন, ‘এই তরুণেরা আমাদের বেধড়ক মারধর করেছেন। আমাদের পোশাক মাটিতে ছুড়ে ফেলেছেন। এমনকি আমি একজন নারী হওয়ার পরও আমাকে তল্লাশি করা হয়েছে। হামলাকারীরা সম্ভবত বয়সে আমার মেয়ের চেয়েও ছোট হবে।’

ফাতিমা আবদুলরহিম তাঁর নাতি–নাতনিদের সঙ্গে তাবিলাতে পালিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, পাঁচ দিন ধরে অনেক কষ্ট করে হেঁটে তাবিলাতে পৌঁছাতে পেরেছেন।

ফাতিমা বলেন, ‘তাঁরা (আরএসএফের সদস্যরা) ছেলেশিশুগুলোকে মারলেন এবং আমাদের সব সম্পদ কেড়ে নিলেন। আমাদের কিছুই রাখা হলো না। আমরা এখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারলাম, আমাদের পর যেসব মেয়ে এসেছে, তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমাদের মেয়েরা বেঁচে গেছে।’

পালিয়ে আসা তরুণী রাওয়া আবদাল্লা বলেছেন, তাঁর বাবা নিখোঁজ।

গত বুধবার রাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় আরএসএফের প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর যোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। হামদান ‘হেমেদতি’ নামেও পরিচিত।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাদের সঙ্গে আরএসএফ সদস্যদের লড়াই চলছে। গত বৃহস্পতিবার আরএসএফ দাবি করে, নির্যাতনের অভিযোগে বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করেছে তারা।

তবে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার সাধারণ নাগরিকদের ওপর আরএসএফ সদস্যদের নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে বাহিনীটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএসএফের একজন উচ্চপদস্থ কমান্ডার এই ঘটনাগুলো ‘গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর দাবি, এল–ফাশেরে নিজেদের পরাজয় ও ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করতে সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্ররা এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, এ সংঘাত চলাকালে আরএসএফ ও সেনাবাহিনী—দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। বিরাজ করছে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের অবস্থা। পাশাপাশি কলেরা ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ বাড়ছে।

দারফুর থেকে পালিয়ে আসা লোকজন তাবিলা এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প
  • দারফুরে ধর্ষণ-মুক্তিপণ-হত্যা: আরএসএফের ভয়াবহ নিপীড়নের বর্ণনা দিলেন পালিয়ে আসা মানুষেরা
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স