কিছু অসঙ্গতি আছে, ভোট সুষ্ঠু হলে জিতব: শিবিরের ভিপি প্রার্থী
Published: 11th, September 2025 GMT
ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকুস) নির্বাচনে জয় পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোটদান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন: শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটে সুজন চন্দ্র
সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলনের
আরিফ উল্লাহ বলেন, “দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। আমরা ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে যাচ্ছি।
টকেন্দ্রগুলোতে ভোট চলছে। কিছু অসঙ্গতি আমরা লক্ষ্য করছি। যেমন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের কথা। নির্বাচন কমিশন বলেছিল, আজ সকাল ৬টা থেকে ক্যাম্পাসে কোনো প্রাক্তণ শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না। কিন্তু বিভিন্ন ভোটকেন্দ্ররে আশপাশে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা চিন্তিত।”
তিনি আরো অভিযোগ করেন, “আমাদের শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটার ২৯৯ জন। কিন্তু ওই ভোটকেন্দ্রে ব্যালট প্যাপার গেছে ৪০০টি। ১০১টা বেশি ব্যালট পেপার কেন গেছে সে বিষয়ে কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি সেটার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।”
তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ শতাংশ বেশি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছিল, কোনো কেন্দ্রে বেশি ব্যালট পেপার যাবে না, অথচ আজ এক কেন্দ্রে একশোর বেশি ব্যালট গেছে।”
তিনি বলেন, “আশা করি, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। পরিস্থিতি এমন থাকলে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হবেন। আমরা জয়ী হব।”
আজ সকাল ৯টায় ২১টি ভোটকেন্দ্রের ২২৪টি বুথে ভোট শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হল এবং ১০টি ছাত্রী হলের ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহণ হবে বিরতিহীন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১১৫ জন ছাত্র। ছাত্রী ভোটার ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ভোটার ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নজিরবিহীন জয় নিশ্চিত করায় জাকসু নির্বাচনের দিকেও নজর রয়েছে সারা দেশের।
ঢাকা/আহসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি