ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকুস) নির্বাচনে জয় পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিবিরের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোটদান শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটে সুজন চন্দ্র

সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলনের

আরিফ উল্লাহ বলেন, “দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। আমরা ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে যাচ্ছি। 

টকেন্দ্রগুলোতে ভোট চলছে। কিছু অসঙ্গতি আমরা লক্ষ্য করছি। যেমন প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের কথা। নির্বাচন কমিশন বলেছিল, আজ সকাল ৬টা থেকে ক্যাম্পাসে কোনো প্রাক্তণ শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না। কিন্তু বিভিন্ন ভোটকেন্দ্ররে আশপাশে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা চিন্তিত।” 

তিনি আরো অভিযোগ করেন, “আমাদের শহীদ সালাম বরকত হলে মোট ভোটার ২৯৯ জন। কিন্তু ওই ভোটকেন্দ্রে ব্যালট প্যাপার গেছে ৪০০টি। ১০১টা বেশি ব্যালট পেপার কেন গেছে সে বিষয়ে কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি সেটার কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।” 

তিনি বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ শতাংশ বেশি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছিল, কোনো কেন্দ্রে বেশি ব্যালট পেপার যাবে না, অথচ আজ এক কেন্দ্রে একশোর বেশি ব্যালট গেছে।” 

তিনি বলেন, “আশা করি, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে। পরিস্থিতি এমন থাকলে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হবেন। আমরা জয়ী হব।” 

আজ সকাল ৯টায় ২১টি ভোটকেন্দ্রের ২২৪টি বুথে ভোট শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হল এবং ১০টি ছাত্রী হলের ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটগ্রহণ হবে বিরতিহীন। 

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭২৮ জন ছাত্রী এবং ৬ হাজার ১১৫ জন ছাত্র। ছাত্রী ভোটার ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ছাত্র ভোটার ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নজিরবিহীন জয় নিশ্চিত করায় জাকসু নির্বাচনের দিকেও নজর রয়েছে সারা দেশের। 

ঢাকা/আহসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর টক ন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ