নির্বাচন ঘিরে জাবিতে কঠোর নিরাপত্তা
Published: 11th, September 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকুস) নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একইসঙ্গে অনভিপ্রেত যে কোনো ঘটনা এড়াতে প্রবেশপথে অবস্থান নিয়েছে বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান ফটক, মীর মশাররফ হোসেন হল-সংলগ্ন ফটক, প্রান্তিক ফটক ও বিশ মাইল ফটকসহ প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের টহল লক্ষ্য করা গেছে৷
আরো পড়ুন:
কিছু অসঙ্গতি আছে, ভোট সুষ্ঠু হলে জিতব: শিবিরের ভিপি প্রার্থী
জাকসু নির্বাচনে যেভাবে দিতে হবে ভোট
নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৫০০ পুলিশ, ৭ প্ল্যাটুন বিজিবি ও ৫ প্ল্যাটুন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চাইলে প্রথমেই তাদের থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপর পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারী কিংবা অনুমোদিত কেউ কি না। বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
দেখা গেছে, সকাল থেকে অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢোকার সময় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে প্রবেশ করছেন। গেটের বাইরে সাধারণ মানুষ বা বাইরের কেউ ঢুকতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সঙ্গে কথা বলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি কিংবা জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়িগুলোই গেট অতিক্রম করতে পারছে।
গেটে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, “জাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এজন্য ক্যাম্পাসের ভেতরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে—আইডি ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় আছি।”
জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন যা যা করা দরকার তার সবটুকু করবে।”
সব আবাসিক হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন ও দোকান খোলা রাখা এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা হতে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সব মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এই সময়ে শুধু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকার এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সব স্টাফ বাস প্রান্তিক গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবশে করবে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ঢাকা/সাব্বির/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ