যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা-বিনিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগ
Published: 11th, September 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাইয়ের একটি কারখানায় মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ব্যাপক অভিযানের পর দেশটিতে বিনিয়োগ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো ‘খুবই দ্বিধাগ্রস্ত’ বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং। খবর বিবিসির।
মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের গত সপ্তাহের অভিযানে আটক হওয়া তিন শতাধিক দক্ষিণ কোরিয়ান নাগরিক শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশে ফিরবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জটিলতার কারণে তাদের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিউল।
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা
ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ফের যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ইউরোপের নেতারা
‘পরিস্থিতি অত্যন্ত বিভ্রান্তিকর’ উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন “বিদেশে কারখানা স্থাপনের সময় কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সাধারণত দেশ থেকে কর্মী পাঠায়। যদি এটি আর অনুমোদিত না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা স্থাপন আরো কঠিন হয়ে উঠবে। কোম্পানিগুলো প্রশ্ন তুলবে যে, যুক্তরাষ্ট্রে আরো বিনিয়োগ করা উচিত হবে কিনা।”
গত সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্মকর্তারা হুন্দাইয়ে একটি ব্যাটারি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৪৭৫ জনকে আটক করেন, তাদের মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভিসার নিয়ম ভেঙে কাজ করছিলেন।
লি জানান, ‘ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভিসা সংক্রান্ত বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। শিগগিরই হয়তো বাড়তি কোটার মাধ্যমে অথবা নতুন ভিসা ক্যাটাগরি তৈরির মাধ্যমে বিকল্প তৈরি হতে পারে।’
লি বলেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র যদি এটিকে বাস্তবিক প্রয়োজন হিসেবে দেখে তবে তারা এটির সমাধান করবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, “কর্মীদের দেশে ফেরাতে বিলম্ব হয়েছে হোয়াইট হাউজের নির্দেশে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আটক কর্মীদের মধ্যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে আমেরিকান কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে ইচ্ছুক কি না তা যাচাই করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হুন্দাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ওই কারাখানা পরিচালনাকারী এলজি এনার্জি সলিউশন জানিয়েছে, তাদের অনেক কর্মী বিভিন্ন ধরনের ভিসা বা ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় ছিলেন।
কারখানার এক কর্মী বিবিসিকে বলেন, অভিযানের সময় চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। আটক অধিকাংশ কর্মী ছিলেন মেকানিক, যারা উৎপাদন লাইন বসানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিযুক্ত ছিলেন।
এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্ক আংশিকভাবে এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। তবে অভিযানের ঘটনায় কোরিয়ান গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম দোং-আ ইলবো এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগে ‘একটি ধাক্কা’ আখ্যা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, দুই দেশকে দ্রুত সহযোগিতায় এগিয়ে এসে ‘বন্ধুত্বের ফাটল মেরামত করতে হবে।’
তবে হোয়াইট হাউজ হুন্দাই কারখানায় অভিযানের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনায় বিনিয়োগে বিরূপ প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছে।
রবিবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদেশি কোম্পানিগুলোতে আমেরিকানদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জানান।
ট্রাম্প বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি মার্কিন অভিবাসন আইন মেনে চলে, তবে তাদের কর্মী আনা ‘দ্রুত ও বৈধভাবে সম্ভব’ হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র ক কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সিডনিতে তিন তারকার হলো দেখা
দূর প্রবাসের ব্যস্ত জীবনে হঠাৎ দেশের চেনা মুখের দেখা মিলে গেলে সেটি কেবল একটি সাধারণ সাক্ষাৎ থাকে না। বরং হয়ে ওঠে দেশের স্মৃতি টেনে আনা এক মুহূর্ত, হয়ে ওঠে একটুকরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। এমনই এক দৃশ্যের অবতারণা হলো গত শনিবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনির এডমন্ডসন পার্ক মলে।
বাংলাদেশের তিন অঙ্গনের তিন পরিচিত মুখ—ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস, গায়ক তাহসান খান ও অভিনেতা মাজনুন মিজান সেখানে হঠাৎ একত্র হলেন। ব্যস্ত নগরের ভিড়ে এই তিন তারকার দেখা হয়ে গেল এক ‘অপ্রত্যাশিত’ আড্ডায়।
তিন ভুবনের তারকারা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস সম্প্রতি পরিবার নিয়ে সিডনিতে স্থায়ী হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এখন নতুন করে জীবনের আরেক অধ্যায় শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। অভিনেতা মাজনুন মিজানও অনেক দিন ধরেই পরিবার নিয়ে সিডনিতে বসবাস করছেন।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা দেশে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। নাট্যাঙ্গনের পরিচিত মুখ হলেও সিডনিতে তিনি অনেকটা পর্দার আড়ালেই থাকেন, তবু প্রবাসী বাঙালিদের কাছে তিনি প্রিয়জন।
অন্যদিকে গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান ছিলেন সফররত। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করছেন তিনি। ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেডে সফল শো শেষে সিডনির কনসার্টেও হাজারো দর্শকের মন জয় করেছেন। এরপর সামনে রয়েছে মেলবোর্ন ও পার্থে তাঁর পরিবেশনা। সিডনিতে সফল কনসার্টের রেশ এখনো কাটেনি, এরই মধ্যে ঘটে গেল এই মিলন।