দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দ সংস্থা মনে করে, ‘কিম জু এ’ নাকি কিম জং উনের উত্তরসূরী। যদিও কিম জং উনের পরিবার চায় না যে তাদের সম্পর্কে বিশ্বের মানুষ কিছু জানুক। তাই তাদের সম্পর্কে আসলে কোনো তথ্যই নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। 

ধারণা করা হয় কিম জং উন আর তার স্ত্রী স্ত্রী রি সোল জুয়ের তিন সন্তান রয়েছে। তাদের মধ্যে কিম জু এ দ্বিতীয়। তবে কিম জু এ দ্বিতীয় কিনা তা নিয়ে কেউই নিশ্চিত নন।

আরো পড়ুন:

কিম জং–উনের ব্যক্তিগত ট্রেনে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে

বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চীনে প্রবেশ করলেন কিম জং উন

এমন কি কিম জং উনের আসলে তিন সন্তান আছে কিনা সে বিষয়ে কোনো সুনিশ্চিত তথ্য বিশ্ব মিডিয়ার কাছে নেই। কিম জং উন এখন পর্যন্ত কিম জুএকেই জন সম্মুখে এনেছেন। তার অন্য কোনো সন্তানকে মিডিয়া বা জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

কিমের এই মেয়ের কথা প্রথম জানা যায় ২০১৩ সালে। উত্তর কোরিয়ায় নিয়মিত সফর করা বাস্কেট খেলোয়ার ডেনিস রড ম্যান ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, কিম জং উনের সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় তিনি তার মেয়ে কিম জু একে সাথে রেখেছিলেন। 

কিম জু একে জনসম্মুখে প্রথমবার দেখা যায় ২০২২ সালে। সে সময় তার বাবার সাথে একটি মিসাইল লঞ্চ-এর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরের বছর থেকে তাকে নিয়মিত দেখা যেতে থাকে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে। উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রকাশ হতে থাকে তার ছবি।

২০২২ সালের পর থেকে নিয়মিত বাবার সাথে দেখা যেতে থাকে কিম জু একে। অস্ত্রের মহরা হোক কিংবা মিলিটারি প্যারেড কিংবা মিসাইল নিক্ষেপ সব অনুষ্ঠানেই বাবার সাথে আয়োজনের মধ্যমণি হিসেবে দেখা যেতে থাকে তাকে। উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে শুরু করেন তিনি। 

২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা তাদের অনুমান প্রকাশ করে যে, কিম জং উনের মেয়ে ঘোড়া চালাতে, স্কিইং করতে আর সাঁতার কাটতে বেশ পছন্দ করেন। উত্তর কোরিয়ার পিয়ং আনে বাড়িতে থেকেই তিনি পড়ালেখা করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার দোয়েন্দা সংস্থা সে সময় ধারণা করে যে- কিম জু-এর বয়স দশ বছর।

এবার চীন সফরের সময় কিম জং উনের সাথে মেয়ে কিম জু একে দেখা যাওয়ার পর থেকে শোনা যাচ্ছে, তিনিই হতে যাচ্ছেন কিম জং উনের উত্তরসূরী। আর সে রকম হলে কট্টর পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট হিসেবে পরিচিত উত্তর কোরিয়া হয়তো প্রথম বারের মতো একজন নারী নেত্রী পেতে যাচ্ছে। 

সূত্র: বিবিসি

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম জ উন অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 

বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে