নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থান করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হেমা মাঝি (৫৪) নামে এক ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটে রান্না করার সময় নৌকাটিতে বিস্ফোরণ হয়।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

আবদুল বাতেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

পাবনায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাকীবিল্লাহ গ্রেপ্তার

সোনারগাঁয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৫

দগ্ধ হেমা মাঝি লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরবসু গ্রামের আলী মিয়ার ছেলে। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

চেয়ারম্যান ঘাটের ব্যবসায়ী আলতাফ জানান, দুইদিন আগে ১২ জন জেলে নিয়ে চেয়ারম্যান ঘাটে আসে মাস্টার মাঝি নামে ট্রলারটি। পরে ১১ জন জেলে বাড়ি চলে যান। ট্রলারটি পাহারা দিতে ছিলেন হেমা মাঝি। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ট্রলারে রান্না করছিলেন তিনি। এসময় ট্রলারে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে নৌকাটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায় এবং হেমা দ্বগ্ধ হন।

তিনি আরো জানান, আশপাশের লোকজন হেমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। হেমা মাঝির দুই হাত, দুই পা, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে ঝলসে গেছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী জানান, রাতে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে আগুনে ঝলসানো একজনকে আনা হয়েছিল। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এসআই আবদুল বাতেন বলেন, ‍“রান্না করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। নদীতে এ ঘটনা হওয়ায় নৌ পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।”  

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩