জাবি শিক্ষিকা জান্নাতুলের জানাজা অনুষ্ঠিত
Published: 12th, September 2025 GMT
চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের জানাজা শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনার কাজে অংশ নিতে এসে জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার সকাল ৮টার আগে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন: নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’, তবে ফলাফল মেনে নেবে বাগছাস
জাকসু নির্বাচন: জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জাবি বাগছাস
জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পর শোকাহত হয়ে পড়েন তার সহকর্মীরা। চারুকলা বিভাগে তার মরদেহ নেওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষার্থীরা।
বিকেল ২টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জানাজা শেষ হয়েছে।
জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি পাবনা শহরে। সেখানেই তাকে দাফন করা হবে। জান্নাতুলের সহপাঠী নজির আমিন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামীর নাম সিরাজুল ইসলাম। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে।
জাবির চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা বলেন, “আমাদের প্রিয় সহকর্মীর আচরণে কেউ কষ্ট পেলে তাকে ক্ষমা করে দেবেন। সবাই তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সোহেল রানা এ সময় বলেন, “আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ তাকে যেন শান্তিতে রাখেন।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “তিনি একজন আদর্শ ও সবার অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। কোনো অপরাধ থাকলে, আল্লাহ যেন তাকে ক্ষমা করে দেন। তার পরিবারকে আল্লাহ যেন ধৈর্য দান করেন।”
ঢাকা/সাব্বির/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক