ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘‘হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে। নতুন করে অনেকের মধ্যে ফ্যাসিস্ট চরিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এজন্য ফ্যাসিস্টমুক্ত দেশ গড়তে আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই।’’

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) খুলনার নিউমার্কেট চত্বরে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রসংস্কার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়া, খুনি ও স্বৈরাচারের দৃশ্যমান বিচার এবং ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে দলটির খুলনা মহানগর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

ফয়জুল করীম বলেন, ‘‘চব্বিশের পাঁচ আগস্টের পরে একটি দল নেমেছে হাট-বাজার, বাসস্ট্যান্ড দখল করার জন্য। এরাই দেশকে অতীতে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। এ দেশের মানুষ আগামীতে সংসদে কোনো চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজকে দেখতে চায় না।’’

তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরের কোনো নির্বাচন জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে পারে নাই। একই ব্যবস্থায় আবারো নির্বাচন হলে আগের জঞ্জাল দূর হবে না। এই বাস্তবতায় পিআর পদ্ধতি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে।’’

ফয়জুল করীম আরো বলেন, ‘‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পরও আগের ধারাবাহিকতায় চাঁদাবাজরা, খুনিরা, স্টেশন দখলকারীরা ক্ষমতায় আসবে? তা হবে না। প্রয়োজন হলে আবারো দেশকে স্বাধীন করার জন্য মানুষ রাজপথে নামবে।’’

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ