গ্রাহকদের দেওয়া গ্যাস ও পানির বিল আত্মসাতের মামলায় সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে (বরখাস্ত) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁর নাম তাজকেরাতুন নেছা। তিনি চট্টগ্রাম নগরে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের হালিশহর শাখায় কর্মরত ছিলেন। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

সাহেদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত পৃথক দুটি ধারায় আসামিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের হালিশহর শাখায় গ্রাহকদের দেওয়া গ্যাস ও পানির বিল জমা না দিয়ে তাজকেরাতুন নেছা আত্মসাৎ করেন প্রায় ছয় লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা তিনি পরিশোধ করলেও বাকি টাকা ফেরত দেননি। এ ঘটনায় দুদক চট্টগ্রামের তৎকালীন সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন বাদী হয়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে নিজ কার্যালয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ