২৪ ঘণ্টার মধ্যে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল না হলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি শিক্ষক–কর্মকর্তাদের
Published: 17th, September 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালসহ ৩ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবিগুলো না মানলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, অফিসার্স সমিতি ও সহায়ক কর্মচারী সমিতির এক যৌথ বিবৃতিতে এই আলটিমেটামের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে ২৫ সেপ্টেম্বর রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের কর্মসূচির ঘোষণা নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়। এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে কর্মবিরতি চলছে, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ২৪ আগস্ট ২০২৫শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত তিনটি দাবি হলো প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) অবিলম্বে বাস্তবায়ন; বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত সব ‘প্রশাসক প্রথা’ বাতিল এবং সব শিক্ষকের জন্য ব্যক্তিগত চেম্বারের সুব্যবস্থা নিশ্চিত ও শিক্ষা-গবেষণার মানোন্নয়নে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম বলেন, ‘আমরা অনেক দিন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছিলাম। প্রশাসনের আশ্বাসে ভেবেছিলাম, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। যেহেতু দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ সুবিধা বহাল আছে। কিন্তু এত দিনেও মেনে না নেওয়ায় আমরা আবার কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি১৯ আগস্ট ২০২৫রাকসু নির্বাচনকে পুঁজি করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে এসে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ ধরনের কর্মসূচি হতাশাজনক। রাকসু নির্বাচনকে পুঁজি করে তাঁরা নিজেদের দাবি আদায়ের নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি ক্যাম্পাসের সব প্রার্থীদের যার যার অবস্থান থেকে এই অযৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল আলীম বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের জন্য রাকসু নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। নির্বাচন নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে। এখনো সময় আছে, আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা নির্বাচনের আগেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।’
আরও পড়ুন‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি ১৮ আগস্ট ২০২৫এদিকে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কোনো মীমাংসিত ইস্যুকে সামনে এনে রাকসু নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা অথবা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রাকসু বানচালের পাঁয়তারা করলে, আমরা শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেব না। এটা নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’
এ বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত নয়। আশা করছেন, নির্বাচনের আগেই প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করবে।
এর আগে ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুনশিক্ষক–কর্মকর্তাদের পোষ্য কোটা বাতিল, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য থাকছে ১ শতাংশ০১ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন