এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ
Published: 18th, September 2025 GMT
রাঙামাটির সাজেকে যাওয়ার পথে চান্দের গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মোছা. রুবিনা আফসানা রিংকীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ি সেনানিবাস থেকে মরদেহটি নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
আরো পড়ুন:
দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা
যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
এর আগে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের সিজকছড়া এলাকায় খুবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী চান্দের গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে মোছা.
স্থানীয়রা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধার কাজ চালিয়ে আহতদের খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খুবি শিক্ষার্থী রুবিনার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেখানে পৌঁছায় মরদেহ বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি।
সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, বেসামরিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মরদেহ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি রিজিয়ন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহটি গ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান ও শিক্ষার্থী রণজিৎ রায়। রুবিনার মরদেহ হস্তান্তরের সময় খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও সদর দপ্তর ২০৩ পদাতিক ব্রিগেডের জিটু-আই মেজর কাজী মোস্তফা আরেফিন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুমানা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিকেলে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেফালিকা ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. সাবের হোসেন বলেন, “গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। আর নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে গাইবান্ধায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/হাসিব/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ন হত র মরদ হ আহতদ র
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।