পাঁচ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের গণমিছিল
Published: 18th, September 2025 GMT
পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা মিছিলটি বের করেন। মিছিলটি প্রেস ক্লাব ঘুরে বায়তুল মোকারররম গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলোত্তর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন রাজী।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি।
উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন খান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ছানাউল্লাহ আমীনি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দীকি, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আজিজ, খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এহসানুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, গাজীপুর মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী নিজাম উদ্দিন ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডাক্টার আলা আমিন রাকিব ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ নোমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমিনসহ প্রমুখ।
মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, “রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ঘোষণার মাধ্যমে অবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।”
তিনি বলেন, “হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে সংঘটিত জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা আগামী সংসদের জন্য জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ঠেলে দিতে চায়, তারা আসলে রাজনৈতিক সুবিধার খোঁজ করছে। এখনই দেশের ও জনগণের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে জাতীয় বিপর্যয় অনিবার্য। এছাড়া কোনো নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।”
পিআর ছাড়া উচ্চকক্ষ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না মন্তব্য করে মাওলানা জালাল বলেন, “সংসদে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত না হলে দেশে স্থায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। বর্তমান পদ্ধতিতে ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট দলের হাতে কুক্ষিগত হয়ে পড়ে, যা ইনসাফ ও জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি। প্রকৃত রাজনৈতিক বিকাশ ঘটাতে ও সংসদকে জাতির কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তর করতে হলে উচ্চকক্ষে পিআরের কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি বলেন, “অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। পলাতক আওয়ামী লীগ তাদের ঘাড়ে ভর করে পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা রক্ষায় এদের নিষিদ্ধ করা অপরিহার্য।”
আতাউল্লাহ আমীন বলেন, “সরকার একটি বড় দলের স্বার্থে সবকিছু করার চেষ্টা করছে। অথচ দলের পরিচয়ে জুলাই শহীদরা রক্ত দেননি। তারা বাংলাদেশ পরিচয়ে অসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ল হ আম ল হ আম ন র জন ত ক মজল স
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব