নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু
Published: 18th, September 2025 GMT
নিরাপত্তা প্রযুক্তি ও পণ্যের সর্বশেষ উদ্ভাবন নিয়ে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো’। তিন দিনের এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে দেশ–বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি নিরাপত্তা পণ্য ও সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিও বার্তায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আয়োজন দেশি ও বিদেশি প্রযুক্তিবিদ ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। সরকার নিরাপত্তা ও আইসিটি–সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি নিরাপদ ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য কাজ করছে। আমরা এ বছরের মে মাসে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ কার্যকর করার মাধ্যমে নাগরিকদের তথ্য ও সাইবার নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি। ডেটা গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করতেও আমরা চেষ্টা করছি। নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খাতের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রদর্শনীতে অগ্নিনির্বাপণ প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, স্মার্ট মনিটরিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিসহ নিরাপত্তা ক্যামেরা প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া সতর্ক ডটকমের বিক্রয় কর্মকর্তা মো.
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সহসভাপতি মো. ওয়াহিদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি একাধিক বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আই–স্টেশন লিমিটেড ও জিপিই এক্সপো যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব