জলবায়ু অর্থায়ন ন্যায্যভাবে বণ্টন করতে হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা
Published: 19th, September 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “জলবায়ু অর্থায়ন প্রশমন ও অভিযোজন খাতে সমানভাবে বণ্টন করতে হবে, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়।”
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সমন্বিত জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) বোর্ডের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “জলবায়ু ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলায় প্রকল্পগুলোর অগ্রাধিকার স্পষ্ট করা জরুরি এবং প্রতিটি পদক্ষেপ হতে হবে ন্যায্য।”
জাতীয় জলবায়ু কার্যক্রমে বিসিডিপির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বিসিডিপি নীতি, পরিকল্পনা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমে সমন্বয়ের একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম।’’
তিনি সরকারি সংস্থা ও বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনসের (সিএসও) সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সিএসওরা সরাসরি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগ বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। মন্ত্রণালয়গুলোর প্রকল্প উন্নয়ন সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক তহবিল সহজে পাওয়া যায়।”
পরিবেশ উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেবল পরিবেশগত সমস্যা নয়-এটি উন্নয়ন, অর্থনৈতিক ও অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ। প্রশমন খাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বনায়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে জরুরি অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
অভিযোজন কার্যক্রমে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক খাল পুনরুদ্ধার এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে।”
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
এছাড়া পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, এডিবি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সভায় যোগ দেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিসিডিপির মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।
সভায় বিসিডিপির অগ্রগতি, বোর্ড ও ওয়ার্কিং গ্রুপের টার্মস অব রেফারেন্স সংশোধন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক ও কার্যকরী বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর ব শ জলব য
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’