দিনাজপুরের বিরামপুরে টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের জোলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মৌসুমি ফল ব্যবসায়ী ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বরিশালে বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৭

বগুড়ায় মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক পিটিয়ে হত্যার তথ্য জানিয়েছেন।  

ওসি মমতাজুল হক বলেন, ‘‘টাকা চুরির ঘটনা কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুইজন বর্তমানে পলাতক, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’’

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একই গ্রামের রায়হান কবির (২২) সাজেদুলের কাছে টাকা ধার চান। কিন্তু সাজেদুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর সাজেদুলের বাড়িতে রাখা গচ্ছিত ৬ হাজার টাকা হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় সন্দেহ করে রায়হানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অস্বীকার করেন।

এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে রায়হান তার চাচাত ভাই নুরুন্নবী ইসলাম (২৩) কে ডেকে আনেন। পরে দুজনে মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এ সময় তারা সাজেদুলের বুকে ও অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাজেদুল। বাধা দিতে গেলে তার মাকেও মারধর করা হয়।

স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাজেদুলকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু পথে ফুলবাড়ী এলাকায় সাজেদুলের মৃত্যু হয়।


 

ঢাকা/মোসলেম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

বারহাট্টায় বিএনপির ৬ নেতাকে শোকজ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় বিএনপির ছয় নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমলের স্বাক্ষরে এ নোটিস জারি করা হয়।

নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যারা নোটিশ পেয়েছেন তারা হলেন— বারহাট্টা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল আজাদ, আসমা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মতিউর রহমান, চিরাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস তালুকদার নয়ন, সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল শেখ, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ভুট্টো ও সদস্য মো. মোস্তফা কামাল।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এসব নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নৈতিক অবক্ষয়ের অভিযোগ আছে। এর পাশাপাশি তাদের পরিবারের কয়েকজন মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি চিরাম ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিক আহমেদ কমল বলেছেন, দায়িত্বশীল পদে থেকেও তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই, কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিস পাওয়া নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন, এখনো কপি হাতে পাননি, তবে বিষয়টি শুনেছেন। তারা নোটিসের জবাব দেবেন।

ঢাকা/ইবাদ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ