পরপারে ভালো থেকো জুবিন: সোহম চক্রবর্তী
Published: 19th, September 2025 GMT
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। একাধারে গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে স্কুবা ড্রাইভিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শোবিজ অঙ্গন। ভারতীয় বাংলা সিনেমার বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন জুবিন। তার গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। প্রিয় গায়ক, বন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন এই নায়ক—
জুবিন গার্গ নেই! খবরটা শুনে বিশ্বাস করতে পারছি না। সামনে পূজা। উৎসবের আগে এমন অন্ধকার নেমে আসবে, কল্পনাও করতে পারেনি। সকাল থেকেই মনটা বেশ খারাপ। ভাবিনি এমন দুঃসংবাদ শুনতে হবে। জুবিনের সঙ্গে আমার তো কম স্মৃতি নেই। খুব মজার মানুষ ছিলেন। ভীষণ খোলামেলা। যখনই দেখা হতো, কোথা দিয়ে যে সময় কেটে যেত, বুঝতেই পারতাম না।
আরো পড়ুন:
সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ মারা গেছেন
ফের মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ বিজয়ী মিথিলা
‘প্রেম আমার’ আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। সেই সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘বোঝে না সে বোঝে না’। জুবিনের গলায় সেই গান আজও সমান জনপ্রিয়। জুবিনের ‘ইয়া আলি’ আমার ভীষণ পছন্দের একটি গান। যখনই এই গানটা শুনতাম, মনে হতো কবে জুবিনের গাওয়া গানে লিপ দেব। ম্যানিফেস্ট করতাম, আমার জন্য অন্তত একটি গান জুবিন গায়। ঈশ্বর আমার কথা শুনেছেন।
যখন জানতে পারলাম ‘প্রেম আমার’ সিনেমায় জুবিনের গাওয়া গানে লিপ দেব, ভীষণ আনন্দ হয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। তারপর তো জুবিনের সঙ্গে আলাপ হলো, বন্ধুত্ব হলো। তারপর আমার বেশ কয়েকটি সিনেমায় জুবিন গান গাইলেন। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গাঢ় হলো।
একসঙ্গে প্রচুর স্টেজ শো করেছি। যখনই আমরা একসঙ্গে স্টেজে উঠতাম, দর্শক ‘বোঝে না সে বোঝে না’ শুনতে চেয়েছেন। আর জুবিন আমাকে মাইকটা এগিয়ে দিতেন। আমার তো তখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। জুবিনের সামনে গান গাইতে গিয়ে তো আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত।
আসামে যখনই বেড়াতে গিয়েছি, জুবিন বাড়িতে থাকলে আমার সঙ্গে দেখা করেছে। আসামে শো করতে গেলে, যেকোনো সমস্যায় জুবিনকে একটা ফোন করলেই ও সবরকমভাবে সাহায্য করেছে। তবে সম্পর্কের গায়েও তো ধুলো পড়ে। মাঝের বেশ কিছু বছর ওর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল না। তবে ওর কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতাম।
আমার সবচেয়ে বড় আফসোস কি জানেন? আমার আগামী একটি বাংলা সিনেমায় জুবিন গান গেয়েছেন। সেই সিনেমাটা মুক্তির অপেক্ষায়। ভেবেছিলাম হয়তো দেখা হবে। সেটা আর হলো না। আমি ওর বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি। তুমি পরপারে ভালো থেকো জুবিন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েই বিয়ে করেন দুজন ব্যক্তি; কিন্তু একসঙ্গে থাকতে শুরু করার পর সবচেয়ে আপন এই মানুষের সঙ্গেও নানা কারণে তৈরি হয় মতবিরোধ। এক কথা, দুই কথায় বাধে ঝগড়া। বয়োজ্যেষ্ঠদের মতে, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া আসলে এক জায়গায় রাখা দুটি বাসনের ঠোকাঠুকির মতো। এগুলো জীবনেরই অংশ; কিন্তু এই ঠোকাঠুকি বাড়তে দিলেই বিপত্তি। তাই দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া কমিয়ে আনতে চাইলে প্রথমে মতবিরোধের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্বজুড়ে কী কারণে দাম্পত্যে ঝগড়া হয় বেশি, চলুন আগে সেটিই জেনে নেওয়া যাক।
১. বোঝাপড়ার অভাবনাবিলা ও রাফি (ছদ্মনাম) দুজনেই চাকরিজীবী। কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে ক্লান্ত নাবিলা আশা করেন, স্বামী তাঁর কাছে জানতে চাইবেন সারা দিন কেমন কাটল। কিন্তু তা না করে চুপচাপ নিজের মনে ফোন স্ক্রল করেন রাফি।
স্বামীর এমন আচরণে কষ্ট পান নাবিলা। অন্যদিকে রাফি ভাবেন, সারা দিন কাজের পর স্ত্রীর হয়তো কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, ও একটু নিজের মতো থাকুক। দুজনের চাওয়া ভিন্ন। এভাবে নিজের প্রত্যাশার কথা না জানিয়ে দিনের পর দিন কাটাতে থাকলে মনের ভেতর ক্ষোভ জমা হতে থাকে।
আবার বাসার বাড়তি বিল নিয়ে রাফি যখন চিন্তিত, সেটিকে পাত্তা না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দিলেন নাবিলা। এভাবে অপর পক্ষকে কষ্ট দিতে না চেয়েও কষ্ট দিচ্ছেন তাঁরা। দাম্পত্য কলহ নিয়ে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণা করা মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান জানান, ৬৯ শতাংশ বৈবাহিক দ্বন্দ্বের কারণ পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব।
আরও পড়ুনধনীদের ৮টি অভ্যাস, যা মধ্যবিত্তদের চোখে ধরা পড়ে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫২. অর্থনৈতিক হিসাবএকজন বাইরে খেতে ভালোবাসেন, অন্যজন সঞ্চয়ে বিশ্বাসী। আর এতেই বাধে বিপত্তি। এ ছাড়া দুজনেই আয় করলে কে কোন খাতে ব্যয় করবেন, তা নিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য বিচ্ছেদ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
অভিজ্ঞতার আলোকে এই আইনজীবী বলেন, ‘কেউ নিজের শখ পূরণ করতে গিয়ে অন্যের দিকটা ভাবছেন না, কেউ আবার নিজের ইচ্ছা–অনিচ্ছায় ক্রমাগত ছাড় দিয়েই যাচ্ছেন। সংসারে বারবার একপক্ষীয় অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে যিনি ছাড় দিচ্ছেন, তাঁর মনে অসন্তুষ্টি তৈরি হয়, যা একসময় বড় ঝগড়ায় রূপ নেয়।’
এ ছাড়া ছোটখাটো অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও ঝগড়া করেন দম্পতিরা। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে, টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়া করা দম্পতিদের ৩০ শতাংশই সম্পর্কে খুশি থাকেন না।
৩. সময় না দেওয়াসঙ্গীকে সময় না দিলে দ্বন্দ্ব বাড়ে