সোনারগাঁয়ে গাছের ডাব পাড়াকে কেন্দ্র করে বড় মেঝো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ছোট ভাইওমর ফারুক খোকা (২৮) নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের পর উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের আলাপদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফারুক খোকা মোগরাপাড়ার আলাপদী এলাকার মৃত জাহের আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির গাছ থেকে ডাব পাড়া নিয়ে দুই ভাইয়ের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেজো ভাই আক্তার ছোট ভাই খোকাকে ছুরিকাঘাতে করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

সানোয়ার। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ডাব পাড়া নিয়েই ঝগড়া হয়েছে। ছুরিকাঘাতকারী ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে; তাকে আটক করার চেষ্টা চলছে।”
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ রুখে দেওয়ার দাবি ন্যাটোর

ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশ এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। শুক্রবার অনুপ্রবেশের ঘটনার পর সেগুলো রুখে দেওয়া হয় বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ন্যাটো বলেছে, এটি রাশিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণ’।

ন্যাটোর সদস্যদেশ এস্তোনিয়া। রুশ যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশকে ‘নির্লজ্জ’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়েই রাশিয়ার তিনটি মিগ–৩১ যুদ্ধবিমান ন্যাটোর সদস্য এস্তোনিয়ার আকাশে প্রবেশ করে। ফিনল্যান্ড উপসাগরের ওপর সেগুলো মোট ১২ মিনিট ছিল।

রুশ যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে ন্যাটোর মুখপাত্র অ্যালিসন হার্ট বলেন, যুদ্ধবিমানগুলো শনাক্ত করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেন তাঁরা। সেগুলোকে পথিমধ্যে আটকে দেওয়া হয়। বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণ এবং ন্যাটোর জবাব দেওয়ার সক্ষমতার আরও একটি উদাহরণ।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। তবে ২০২২ সালে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ন্যাটোর আরও দুই সদস্যদেশ—পোল্যান্ড ও রোমানিয়া তাদের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের দাবি করেছে।

ন্যাটো রুশ যুদ্ধবিমান তাড়ানোর দাবি করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, ইউরোপের সম্পদ ব্যবহার করে সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে সহায়তা দিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের সংকল্প কতটা দৃঢ়, তা পরীক্ষা করে দেখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমাদের দুর্বলতা প্রকাশ করা উচিত হবে না।’

একই সুরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিটি উসকানির জবাব দৃঢ়তার সঙ্গে দেব, পাশাপাশি পূর্ব সীমান্তকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ