বাংলাদেশ সফরের জন্য তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লুআই)। দুই সংস্করণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব করবেন শাই হোপ।

ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ব্যাটসম্যান আকিম অগাস্ট। এ মাসের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে টেস্টে অভিষিক্ত স্পিনার খারি পিয়েরেও ফিরেছেন ওয়ানডে দলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হয়েছে নেপাল সিরিজে অভিষিক্ত বাঁহাতি পেসার র‍্যামন সিমন্ডস ও ব্যাটসম্যান আমির জাঙ্গু।

১৮ অক্টোবর ঢাকায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দিয়ে সফর শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিনটি ওয়ানডেতেই অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। টি–টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। ২৭ অক্টোর শুরু হয়ে ৩১ অক্টোবর শেষ হবে টি–টোয়েন্টি সিরিজ।

ওয়ানডের দলে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইস, তাঁর জায়গাতে অগাস্টকে দলে নেওয়া হয়েছে। কবজির চোট এখনো পুরোপুরি সারেনি লুইসের। গত বছর ডিসেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলা অলিক আথানেজেও ফিরেছেন দলে।

খারি পিয়েরে স্পিন বিভাগে সহায়তা করবেন গুড়াকেশ মোতি ও রোস্টন চেজকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের দলেই আছেন পেসার শামার জোসেফ। চোটের কারণে তিনি ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি।

টি-টোয়েন্টি দলে থাকা পেসার সিমন্ডস সর্বশেষ সিপিএলে বার্বাডোজ রয়্যালসের হয়ে ১৫ উইকেট নেন। তাঁর অভিষেক হয় সর্বশেষ নেপালের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেট নেন তিনি। আমিরেরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয় নেপাল সিরিজে। সেই সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি খেলেন অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস।

দুটি স্কোয়াড ঘোষণার পর ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে কোচ ড্যারেন স্যামি বলেছেন, ‘এই দল মাঠে নামবে জয়ের মানসিকতা ধরে রাখতে এবং দলীয় ঐক্য আরও দৃঢ় করতে। এই দুটি বিষয় দীর্ঘ মেয়াদে সাফল্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সফর আমাদের জন্য আরেকটি সুযোগ।’

স্যামি যোগ করেন, ‘আকিমকে দলে নেওয়াতেই স্পষ্ট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আমাদের উদীয়মান খেলোয়াড়দের জন্য কীভাবে পথ তৈরি করছে। ও ভবিষ্যতের খেলোয়াড়, যে অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে সিনিয়র পর্যায়ে এসেছে।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে দল

শাই হোপ (অধিনায়ক), অলিক আথানেজে, আকিম অগাস্ট, জেদিয়া ব্লেডস, কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, খারি পিয়েরে, শেরফান রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি দল

শাই হোপ (অধিনায়ক), অলিক আথানেজে, আকিম অগাস্ট, রোস্টন চেজ, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেন, আমির জাঙ্গু, শামার জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড ও র‍্যামন সিমন্ডস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মা হয়ে বটগাছের মতন ছায়া দিয়েছি, মেয়েকে নিয়ে স্বস্তিকা

পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয়। কাজের খবর থেকে নিজের দিনযাপনের গল্প ভাগ করে নেন অনুরাগীদের সঙ্গে। গতকাল বুধবার রাতে মেয়ে মানিকে নিয়ে আবেগঘন এক পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী।
মেয়েকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘কত ছোট তখন আমরা মা–মেয়ে দুজনেই। আমি কাজ এর সূত্রে যেখানেই যেতাম, ছানার স্কুল ছুটি থাকলে সেও মায়ের সঙ্গে ড্যাং ড্যাং করতে রাজি। আমার ঠিক মনে পড়ে না, মানি একটু বড় হওয়ার পর আমি ওকে ছাড়া তেমন একটা কোথাও গেছি বলে। মানির সবচেয়ে প্রিয় জায়গা ছিল ইংল্যান্ড। এত জায়গায় গেছে বেড়াতে কিন্তু যুক্তরাজ্যে গেলেই বলত, মা এখানে আমি একদিন পড়াশোনা করতে আসব। তারপর চাকরি করব। তুমি এখানে এসে আমার কাছে থাকবে। তুমি তো তখন বুড়ি হয়ে যাবে, একা একা তো থাকতে পারবে না।’

মা-মেয়ের ঘোরাঘুরি নিয়ে স্বস্তিকা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের দুজনেরই মিউজিয়াম, ইউনিভার্সিটি, কলেজ এসব ঘুরে দেখার শখ। টুরিস্টরা বেড়াতে গেলে বেশির ভাগ সময়ে সাইট সিইং, খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটা এসবকে গুরুত্ব দেয়। আমরা দুজন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে সেখানকার মানুষদের সঙ্গে গপ্প করে ওরা কোথায় ঘুরতে যায় ওদের দেশে সেগুলো খুঁজে বের করে সেখানে গেছি। বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষায় থাকা লোকালদের জিগেস করে এমন সব জায়গা আবিষ্কার করেছি ভাবার বাইরে। একটা গোটা দিন কলেজপাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছি আর নিজেকে বলেছি, দেশে ফিরে আরও অনেক মন দিয়ে কাজ করতে হবে, সন্তানের যেখানে পড়ার ইচ্ছে সেটা যেন মা হয়ে পূরণ করতে পারি।’

স্বস্তিকা মুখার্জি। অভিনেত্রীর ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ