আগের ম্যাচেই তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক। বলার মত তেমন কিছু করতে পারেননি৷ খুলনা তার উপর ভরসা রেখেছিল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাকে নিয়েই মাঠে নামে দলটি। সেই ভরসার প্রমাণ দিলেন অভিষেক।
১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে নিয়ে গেছেন তিনি৷ তাকে সঙ্গ দিয়ে নাহিদুল ইসলাম ৯ বলে করেন ২১ রান। দুজনের শেষ লড়াইয়ে খুলনা ৪ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগকে৷
আরো পড়ুন:
টানা পাঁচ জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খুলনা
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইয়াসির ঝড়ে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। বৃষ্টি আইনে ৯ ওভার ৭৮ রানের টার্গেট পায় খুলনা। কিন্তু টপ ও মিডল অর্ডারের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৫.
প্রতি আক্রমণে গিয়ে দুজনের বিস্ফোরক জুটিতে খুলনা পৌঁছে গেছে শিরোপার থেকে এক পা দূরে। যৌথভাবে দুজনই হয়েছেন ম্যাচের নায়ক। চট্টগ্রামের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আহমেদ শরীফ ও হাসান মুরাদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে তাদের হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর ও ইয়াসির আলী। ৬২ রানে ৪ উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে পথ দেখান তারা। ইয়াসির সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন। ৩৭ বলে ইনিংসটি সাজান ২টি করে চার ও ছক্কায়। শুক্কুর ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া দিপু ২৫ রান করেন। আগের দিন সেঞ্চুরি পাওয়া জয় ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
বোলিংয়েও অবদান রাখেন অভিষেক ও নাহিদুল। নাহিদুল ২৩ রানে নেন ১ উইকেট। উইকেট না পেলেও অভিষেক ২৩ রানের বেশি দেননি।
চট্টগ্রাম ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর বিভাগ। আগামীকালই ম্যাচটি সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
হামাস–ইসরায়েলের সংলাপকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে কূটনীতি এবং সংলাপই যেকোনো সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়াটি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ পুনরায় শুরু এবং গাজার জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে। বাংলাদেশ আরও আশা করে, সংলাপের মাধ্যমে গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।
গাজায় শান্তি বজায় রাখতে এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের অনুসরণে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রতি অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ঢাকা। আর পূর্ব জেরুজালেম হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পাস হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে।