দিল্লি টেস্টে যে ভারত জিতবে, তা গতকাল চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। জয়ের জন্য ১২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ৬৩ রানে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন লোকেশ রাহুল ও সাই সুদর্শন। আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে জয়ের জন্য বাকি ৫৮ রান তুলে নিয়ে শুধু আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলাটা বাকি ছিল ভারতের।

কিন্তু ভারত এই ৫৮ রান তোলার পথেই হারিয়েছে আরও ২ উইকেট। পঞ্চম দিনে ১১তম ওভারে রোস্টন চেজের বলে স্লিপে সুদর্শনের দারুণ ক্যাচ নেন শাই হোপ। ৩৯ রানে আউট হন সুদর্শন। অধিনায়ক শুবমান গিল ক্রিজে এসে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আকাশে ক্যাচ তুলে আউট হন। ১৩ রান করেন তিনি। ওপেনার লোকেশ রাহুল এক প্রান্তে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকায় ৭ উইকেটের জয় তুলে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি ভারতের।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২–০ তে জিতল ভারত। ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে গিলের এটাই প্রথম সিরিজ জয়।

বিস্তারিত আসছে.

..।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৮ জন

হবিগঞ্জের ৩৮ জনসহ ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ভূমধ্যসাগর দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করা একটি নৌকার খোঁজ মিলছে না ১০ দিন ধরে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যদাতারা নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজন।

নিখোঁজদের মধ্যে চারজন হলেন—হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা তলাবপাড়া মহল্লার আলফাজ মিয়া রনি (২১), মোজাক্কির আহমেদ (২১), সিয়াম জমাদার (২১) ও মিজান আহমেদ (২০)। অন্য ৩৪ জন হবিগঞ্জ সদরের উমেদনগর, আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ ও জলসুখা এবং বানিয়াচং উপজেলার তারাসই গ্রামের বাসিন্দা।

নিখোঁজ আলফাজ মিয়া রনির বড় ভাই মনির মিয়া বলেছেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে চারটি নৌকা রওনা দেয়। এর মধ্যে একটি নৌকায় হবিগঞ্জের ৩৮ জনসহ প্রায় ৭০ জন ছিলেন। সেই নৌকাটিই নিখোঁজ হয়েছে। বাকি তিনটি নৌকা ইতালিতে পৌঁছেছে।

তিনি জানান, আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী হাসান আশরাফের মাধ্যমে ১৭ থেকে ২০ লাখ টাকা করে দিয়ে ইতালি যাওয়ার উদ্যোগ নেন ওই ৩৮ জন।

রনি ও মোজাক্কিরের স্বজনদের ভাষ্য, হাসান আশরাফ তাদের দুজনের কাছ থেকে মোট ৩৬ লাখ টাকা নিয়ে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর নৌকায় তুলে দিয়ে বিষয়টি বাড়িতে জানানোর পর থেকেই তাদের আর কোনো খোঁজ মিলছে না। আশরাফের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ। 

একই ব্যক্তির মাধ্যমে ইতালি যাওয়া বানিয়াচং উপজেলার জাতুকর্ণপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবুল কাশেম বলেন, আমি ধার-কর্জ করে ১৭ লাখ টাকা তাকে দিয়েছি। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে সে আমাকে ইতালি পাঠিয়েছে। আগে জানলে এ পথে কখনো আসতাম না।

বানিয়াচং উপজেলা সদরের আরেক বাসিন্দা জানান, তার পরিবারের ছয় সদস্য আশরাফের মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা করে দিয়ে ইতালিতে গেছেন। 

তবে, তার আরো দুই আত্মীয় আশরাফের কাছে আটকা থাকায় পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

ফ্রান্স প্রবাসী সৈকত আহমেদ বলেছেন, হাসান আশরাফ গত ছয় মাসে প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ১৭ থেকে ১৮ লাখ টাকা করে নিয়ে ইতালি পাঠিয়েছেন। হাসান আশরাফ এখন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ