ঘরের মাঠে পাকিস্তানের টেস্ট জয়ের সূত্র এখন একটাই। যত পারো স্পিনারদের হাতে বল তুলে দাও। বাকি কাজটা তারাই করবে। লাহোর টেস্টসহ সর্বশেষ ৫ টেস্টে তো পাকিস্তানের নেওয়া ৯০ উইকেটের ৮৮টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। এর মধ্যে এই টেস্টেও স্পিনাররাই দক্ষিণ আফ্রিকার ১২টি উইকেটই নিয়েছেন।

আগামীকালও কাজটা করতে হবে নোমান ও সাজিদকেই। সিরিজের প্রথম টেস্ট জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২২৬ রান, পাকিস্তানের ৮ উইকেটে। ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা আজ তৃতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৫১ রান করে।

প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া নোমান তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ফিরিয়েছেন এইডেন মার্করাম ও উইয়ান মুল্ডারকে। তবে ১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন রায়ান রিকেলটন ও টনি ডি জর্জি। রিকেলটন অপরাজিত ২৯ রানে, ডি জর্জি ১৬ রানে।

পাকিস্তানের দেওয়া লক্ষ্যটা আরও বড়ও হতে পারত। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার সেনুরান মুতুসামী ও সাইমন হারমারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেটি আর হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রান করা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৬৭ রানে।

ইনিংসের শুরু থেকেই মুতুসামী ও হারমারের তোপে পড়ে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওভারেই হারমারের বলে শূন্য রানে ফেরেন প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান করা ইমাম উল হক। প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করা শান মাসুদও ফিরেছেন দ্রুত। ৭ রান করে আউট হয়েছেন হারমারের বলেই।

ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক করেন ৪১ রান। তিনি ফেরেন মুতুসামীর ওভারে। বাবর আজম আজ বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যদিও এমন টার্নিং উইকেটে সেটি কঠিনই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বাবর (৪২) আউট হয়েছেন পেসার রাবাদার বলে।

রাবাদা স্পিনিং উইকেটেও দারুণ বোলিং করেছেন। রাবাদার বলে পাকিস্তান ওপেনার শফিকেরই তিনবার ব্যাটের কানায় লেগেছে, তিনবারই সৌভাগ্যক্রমে চার হয়ে গেছে। রাবাদার সৃষ্টি করা চাপ কাজে লাগিয়েই মূলত অন্য পাশে স্পিনাররা উইকেট নিয়েছেন।

প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মুতাসামী দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারে খেলা আগের ৫ টেস্টে ১১ উইকেট নেওয়া মুতুসামী এই ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন ১১টি। হারমার নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে ৮১ রানে দিন শুরু করা টনি ডি জর্জি পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। জর্জি প্রথম সেঞ্চুরিটিও করেছিলেন উপমহাদেশে, চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে গত বছর খেলেছিলেন ১৭৭ রানের ইনিংস।

জর্জির এই সেঞ্চুরির পরও অবশ্য পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে। ৬ উইকেটে ২১৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৬৯ রানে। আজ ৪ উইকেট হারিয়ে দলটি যোগ করতে পেরেছে ৫৪ রান।

পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানের লিড উপহার দেন মূলত বাঁহাতি স্পিনার নোমানই। ৬ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। টেস্টে এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন নোমান। ঘরের মাঠে এটি নোমানের সপ্তম পাঁচ উইকেট, সব মিলিয়ে নবম।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম ইন ৬ উইক ট উইক ট ন র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়েছে আফগানিস্তান। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তান টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান করেছে। জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৪ রান।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছিল আফগানদের। উদ্বোধনী জুটিতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান তোলেন ৯৯ রান। এই রানে গুরবাজ ফিরেন ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রান করে।

আরো পড়ুন:

পেনাল্টি গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে বাংলাদেশ

শেষ হলো বাকৃবিতে কৃষিতে বালাই ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক প্রশিক্ষণ

সেখান থেকে ইব্রাহিম ও সেদিকুল্লাহ অটল গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ১৭৩ রানের মাথায় অটল ফিরেন ৩ চারে ২৯ রান করে। এরপর অবশ্য দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় আফগানরা, নিয়মিত বিরতিতে। ১ উইকেটে ১৭৩ থেকে তাদের রান হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১৮৮। অবশ্য একপ্রান্তে উইকেট পড়লেও অপর প্রান্ত আগলে খেলেন ইব্রাহিম। তিনি ১১১ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৯৫ রানের ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হন। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। 

এরপর আজমত উল্লাহ ওমরজাইর ২০ ও মোহাম্মদ নবীর ৩৭ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তান ২৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পায়।

বল হাতে বাংলাদেশের সাইফ হাসান ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। তানভীর ইসলাম ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। আর ৬ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ