তিস্তার পানি একতরফা প্রত্যাহার বন্ধে প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন
Published: 12th, January 2025 GMT
তিস্তা নদীর পানি ভারতের একতরফা প্রত্যাহার বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে প্রতিকার দাবি করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনটির আয়োজন করে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাব।
ক্লাবের সদস্য সচিব শিহাব প্রধানের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন রিভারাইন পিপল ক্লাবের সংগঠক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ। আরও বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক ড.
ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে তিস্তা। কার্যত এতে পানির সংকটে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষি-অর্থনীতি, বাস্তুসংস্থান।
এসময় নদীর ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে এর প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এছাড়া অন্যান্য বক্তারা তিস্তা নদীর বর্তমান পানিশূন্য অবস্থার সরেজমিন তিস্তা পরিদর্শনের চিত্র বর্ণনা করেন এবং বাংলাদেশ সরকার যেন তিস্তা পানিচুক্তি ছাড়াও অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানিচুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষ, জনজীবন, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি, নদীভাঙ্গন, বন্যা প্রভৃতির ক্ষতিকর দিক আলোচনা করেন উপস্থিত বক্তারা। অতিদ্রুত যেন বাংলাদেশ তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পায় এবং এতদিন ধরে ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে সৃষ্ট বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেন বক্তারা।
বেরোবি রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধন দুপুর ১২টায় শেষ হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। হামলার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঢেউ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহাজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর বন্ধুসভার জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহাজান মিয়া এবং ঢেউয়ের সদস্য শাহাদাত হোসেন।
বক্তারা বলেন, যাঁরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত, তাঁদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। বাংলাদেশ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকার দিয়েছে। একজন সাংবাদিক হিসেবে মাইনুদ্দিন রুবেল সেই অধিকার প্রয়োগ করেছেন। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখা যাবে না। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামে। তিনি ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে বসবাস করছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে বিজয়নগরের মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়া এবং বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন রুবেল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোখলেছুর ও কাইয়ুম দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা করছেন। পুকুর ও কৃষিজমির মাটি কেটে তা ট্রাক্টরে করে অন্যত্র বিক্রি করছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।