Samakal:
2025-05-01@18:19:27 GMT

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

Published: 13th, January 2025 GMT

বেড়েই চলেছে দাবানলের তীব্রতা

দাবানলে এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। সবচেয়ে বড় প্যালিসেডস দাবানলটি নেভাতে বিমান থেকে ফেলা হচ্ছে পানি ও অগ্নিনির্বাপক। এ ছাড়া স্থলে থাকা দমকলকর্মীরাও বাড়িয়েছেন কাজের গতি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ১১০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। এতে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় প্যালিসেডস দাবানলটি আরও ১ হাজার একর জায়গাজুড়ে ছড়িয়েছে। এতে নতুন করে পুড়েছে আরও বাড়িঘর। তীব্রতা বাড়ার আগে প্যালিসেডস এবং ইটন দাবানলের বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু ঝোড়ো বাতাসের কারণে হঠাৎ করে আগুন আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে।

গত মঙ্গলবার থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন জায়গায় ছয়টি আলাদা দাবানল জ্বলে ওঠে। এখন পর্যন্ত সেখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১২ হাজারের বেশি অবকাঠামো। এ ছাড়া ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দাবানল পুরোপুরি নিভে গেলে উদ্ধারকারীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ চালাবেন। ওই সময় আরও অনেকের মরদেহ পাওয়া যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা টড হপকিন্স এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্যালিসেডস দাবানলের ১১ শতাংশ তারা আটকাতে পেরেছেন। এই দাবানলে পুড়েছে ২২ হাজার একর জায়গা। তবে ভয়ের বিষয় হলো, দাবানলটি ৪০৫ ফ্রি ওয়ে নামের একটি মহাসড়কের কাছে পৌঁছে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া বিভাগ সর্বশেষ বার্তায় জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ভেনচুরা কাউন্টিতে শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে। এর পর সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে। ওই সময় থেকে ৫০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা আগুনকে উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে।

দাবানলের কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের ১ লাখ ৫৩ হাজার বাসিন্দাকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৫৭ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ১ লাখ ৬৬ হাজার বাসিন্দাকে আগাম সতর্কতা দিয়ে বলা হয়েছে, যে কোনো সময় সরে যাওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। 

এমন বিপর্যয়ের মধ্যেই সাধারণ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করতে সমর্থ হয়েছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এডিসন। প্রতিষ্ঠানটির সিইও স্টেভেন পাওয়েল গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এখন মাত্র ৫০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। গত কয়েক দিন আগেও যা প্রায় ৫ লাখ ছিল। অভিযোগ উঠেছে হার্স্ট দাবানলটি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার যন্ত্রপাতি থেকে লেগেছে। তবে স্টেভেন পাওয়েল জানিয়েছেন, তারা এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাননি, যদিও অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে।

দাবানলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিপর্যয় ঘোষণা করেন তিনি। এতে করে সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা পাওয়ার পথ সুগম হয়। যারা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৪০টি উদ্ধারকারী দল ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরও রয়েছে। উদ্ধারকারী দলের সদস্য ও কুকুর মরদেহের খোঁজ করবে। খবর রয়টার্সের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ