বাচ্চাদের পানির বোতল ও টিফিন বক্সেও ভ্যাট বসল। শহর–গ্রামনির্বিশেষে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স ও পানির বোতল ব্যবহার করে থাকে। এসব পণ্য মধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যপণ্যে পরিণত হয়েছে। এবার ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের ফলে টিফিন বক্স ও পানির বোতলের দামও বাড়বে।

প্লাস্টিকের তৈরি টিফিন বক্স ও পানির বোতলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। উৎপাদন পর্যায়ে এই ভ্যাট বসবে। শেষ পর্যন্ত তা ভোক্তার ঘাড়েই চাপবে। এত দিন এসব পণ্যে কোনো ভ্যাট ছিল না।

গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।

কত দাম বাড়বে, তার একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। প্লাস্টিকের পানির বোতলের দাম যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে উৎপাদন পর্যায়ে, অর্থাৎ কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় ১৫ টাকা ভ্যাট দিতে হবে উৎপাদককে। এর মানে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ টাকা দাম বেড়ে যাবে, যা শেষ পর্যন্ত ক্রেতাকেই দিতে হবে। একইভাবে টিফিন বক্সের দামও বাড়বে।

বর্তমানে মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ গ্রুপ, বেঙ্গল গ্রুপসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পগোষ্ঠী পানির বোতল, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন করে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোও বর্তমানে এ ধরনের ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে।

অন্যদিকে কম দামি হাওয়াই চপ্পলের দামও বাড়তে পারে। ১৫০ টাকা পর্যন্ত হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিকের পাদুকার ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বসানো হয়েছে।

এর আগে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের তৈরি পানির বোতল, টিফিন বক্স, হাওয়াই চপ্পল, প্লাস্টিকের পাদুকাসহ বিভিন্ন পণ্যে উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার আবার ওই চার পণ্যের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির নির্দেশ বাতিল করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ