বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ‘রহস্যময়’ গুলিতে উমেপ্রু মার্মা (৩৪) নামের এক নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তবে, কে বা কারা তাকে গুলি করেছে তা জানা যায়নি।
উমেপ্রু মার্মা ওই এলাকার চশৈপ্রু মার্মার বড় মেয়ে ও বান্দরবান বালাঘাটা করুণাপুর পাড়ার রোমেল তঞ্চগ্যা স্ত্রী। রোয়াংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্র মুকুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’’
ভুক্তভোগীর ছোট ভাই ক্যচিংনুং মার্মা জানান, উমেপ্রু মার্মা গতকাল স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। আজ সকালে পাড়ার পাশে শিম ক্ষেতে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি গুলি তার বাম পাশের পেটে লাগে। এ সময় ডাক-চিৎকার করলে পাড়াবাসী তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তারাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উনুমং মার্মা বলেন, ‘‘খেমাগ্রী পাড়ায় এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি।’’
ঢাকা/চাই মং/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।