শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে মুজিববর্ষের লোগো, উত্তেজনা
Published: 13th, January 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞানমেলায় শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে মুজিববর্ষের লোগো নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সোমবার উপজেলা চত্বরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমেলায় অংশ নেয়। এসময় দেখা যায়, উপজেলার পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে মুজিববর্ষের লোগো রয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
এক ছাত্র প্রতিনিধি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করলেও তার দোসরদের এখনও বিদায় করতে পারিনি। আজকের এই ঘটনা অবশ্যই পরিকল্পিত। আমরা মিঠাপুকুরের ছাত্রসমাজ দ্রুত এই আওয়ামী লীগের দোসর প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান বলেন, আজকের বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে। কাল থেকে আর হবেনা।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত