রংপুরের মিঠাপুকুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞানমেলায় শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে মুজিববর্ষের লোগো নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, সোমবার উপজেলা চত্বরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমেলায় অংশ নেয়। এসময় দেখা যায়, উপজেলার পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে মুজিববর্ষের লোগো রয়েছে। পরে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। 

এক ছাত্র প্রতিনিধি বলেন, আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করলেও তার দোসরদের এখনও বিদায় করতে পারিনি। আজকের এই ঘটনা অবশ্যই পরিকল্পিত। আমরা মিঠাপুকুরের ছাত্রসমাজ দ্রুত এই আওয়ামী লীগের দোসর প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে পাইকান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান বলেন, আজকের বিষয়টি ভুলক্রমে হয়েছে। কাল থেকে আর হবেনা।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক

শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা  আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। 

আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন। 

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি

৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন 

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”

আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনার ১০ সুবিধা
  • পাবনার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভারতের নাগরিক, অভিযোগ শ্যালকের 
  • শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
  • সঞ্চয়পত্র নাকি এফডিআর—কোথায় বিনিয়োগ করবেন