বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত জামায়াত কর্মীর মৃত্যু
Published: 13th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক জামায়াত কর্মী মারা গেছেন। এ ঘটনায় জাসদ থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীকে দায়ী করেছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
মারা যাওয়া খোকন আলী মোল্লা (৩৫) মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া গ্রামের নওশের আলী মোল্লার ছেলে। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জামায়াতের জেলা নেতারা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীর সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন আহত হন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কমিটি গঠন নিয়ে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। নাম প্রত্যাহারের জন্য মুকুলের ওপর চাপ ও হুমকি দেন নাসির। এর প্রতিবাদে রোববার বিকেলে প্রতিবাদ সভা ডাকে জামায়াত। সেখানে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিএনপি নেতা নাসির জাসদ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায়।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, ‘নাসির একসময় ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী।’
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অবস্ ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, দু’পক্ষই থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসর জাসদ (ইনু) থেকে আসা নব্য বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় খোকন মোল্লা নিহত এবং আরও ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে অস্ত্রোপচার সকালে
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের হৃদ্যন্ত্রে আগামীকাল শনিবার সকালে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার (ওপেন হার্ট সার্জারি) করা হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তিনি দলের আমিরের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জানান, দলের আমির শফিকুর রহমানের আর্টারিতে (ধমনি) ছোট-বড় মোট ৫টি ব্লক ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ৩টি ব্লক বড় (প্রায় ৮৬ শতাংশ)। বাকি ২টি ব্লকের একটি ৬০, অন্যটি ৬৭ শতাংশ। গত ৩০ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হলে এই ব্লকগুলো শনাক্ত হয়। ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি দুবার মঞ্চে ঢলে পড়েন। এরপর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, জামায়াত আমিরের পরিবার ও দলের পরামর্শ ছিল দেশের বাইরে অস্ত্রোপচারের। কিন্তু তাতে আমির সম্মত হননি। তিনি দেশের চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রেখেছেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়, সুচিকিৎসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করতে। সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়।