ছাত্রশিবির রোডম্যাপ চায় জানুয়ারির মধ্যেই
Published: 13th, January 2025 GMT
চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা। তারা বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ডাকসু নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত সময় চায়, সে জন্য যৌক্তিক কারণ দর্শাতে হবে। একই সঙ্গে ডাকসুতে উপাচার্যের ক্ষমতা হ্রাস, নতুন দুই পদ সৃষ্টি, পুরোনো একাধিক পদ একীভূতকরণসহ সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংস্কারে ৯ দফা প্রস্তাবনাও দিয়েছে শিবির। সোমবার ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিবির নেতারা এসব দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান। প্রস্তাবনায় বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপাচার্য পদাধিকারবলে ডাকসুর সভাপতি মনোনীত হন। তাঁর তত্ত্বাবধানে সব সভা, নির্বাহী কমিটি, অন্যান্য কমিটি ও উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সংসদ পরিচালনা, জরুরি অবস্থা, অচলাবস্থা বা নিয়ম ভঙ্গের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। যে কোনো সময় যে কোনো কমিটির সদস্যকে বহিষ্কার বা সম্পূর্ণ কমিটি বাতিল বা নতুন নির্বাচন আহ্বানসহ একাধিক ক্ষমতা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। সভাপতির এসব ক্ষমতা হ্রাস করে পদটিকে কেবল আলঙ্করিক করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। যেখানে সভাপতির কোনো ধরনের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না।
কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদকে আলাদা করে ‘পাঠাগার, পাঠকক্ষ ও কমনরুমবিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যান্টিনবিষয়ক সম্পাদক’ পদ তৈরির প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক’ পদ পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক’ পদ চালুর প্রস্তাব করেছে তারা। ‘সাহিত্য সম্পাদক’ ও ‘সংস্কৃতি সম্পাদক’ পদকে একীভূত করে ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক’ পদ তৈরিরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘নারী ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক’ এবং ‘ধর্ম ও সম্প্রীতিবিষয়ক সম্পাদক’ নামে নতুন পদ তৈরির প্রস্তাব করেছে ছাত্রশিবির। ডাকসুর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব করা হয়। আগে ডাকসুর কমিটির মেয়াদ শেষ হলে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ৯০ দিন মেয়াদ থাকত।
সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ বলেন, সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে যৌক্তিক সংস্কারগুলো নিশ্চিত করে জানুয়ারির মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চায়। আমরাও চাই। তবে ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে প্রশাসন যদি অতিরিক্ত সময় চায়, যৌক্তিক কারণ দেখাতে হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সংগঠনটির দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা)।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে ডুজার সভাপতি মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহি ও সাধারণ সম্পাদক মাহাদী হাসান ছাত্রদলের এমন বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিভিন্ন মহল থেকে চাপ প্রয়োগ করে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সরিয়ে নেওয়া, বিবৃতিতে সংবাদকর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর শব্দচয়নের মতো আচরণকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে দাবি করেছে ডুজা।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে পাণ্ডুলিপিবিষয়ক কর্মশালা শুরু
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে আইডিইএ পরিচালকের সাক্ষাৎ
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের কর্মসূচি নিয়ে ‘আওয়ামী এমপিকে পুনর্বাসন/ভাগ বাটোয়ারা দ্বন্দ্বে জাবিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত’ শিরোনামে জাগোনিউজ২৪.কম-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদকে ঘিরে একটি বিবৃতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। যেখানে স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরূপ কিছু শব্দচয়ন করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা মেনে নিউজ করার পরেও দু’একটি গণমাধ্যমের উপর ছাত্রদলের প্রভাব খাটিয়ে সংবাদ সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি। গত ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বিবৃতিতে আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবেন। কেউ নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রতিকার চাইবেন। কিন্তু ছাত্রদলের এ ধরনের আচরণ আমাদের সে আকাঙ্ক্ষাকে আশাহত করেছে।
ডুজা নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেদন প্রকাশের পর জাগোনিউজ২৪.কম-এর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৈকত ইসলামকে ‘সময়ের আলো’র স্টাফ রিপোর্টার সাব্বির আহমেদ নামে একজন ফোন দিয়ে চাপ প্রয়োগেরও নিন্দা জানাই।
নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম কর্তৃক সাব্বির আহমেদের অপেশাদার ও অনৈতিক আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী