সাবেক এমপি জিন্নাহর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ, সম্পদ ক্রোকের আদেশ
Published: 14th, January 2025 GMT
বগুড়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর স্ত্রী মোহসীনা আকতারের বগুড়ার বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি হিসাবে থাকা ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৭০৯ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বগুড়ার বিভিন্ন জায়গায় থাকা ২৪ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ১১২ দশমিক শূন্য চার শতাংশ জমি ও ১৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মিনি ট্রাক ক্রোক করার আদেশও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক সিফাত উদ্দিন ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ ও জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ ক্রোক করার আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদনে বলা হয়, মোহসীনা আকতার দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক দুদকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দেন। শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর অবৈধ উপায়ে অর্জিত ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৭২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মোহসীনা আকতার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসমূহ অন্যত্র বিক্রয়, হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে জারনা গেছে। এ জন্য বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে মোহসীনা আকতারের মালিকানাধীন বিভিন্ন সম্পদের মধ্যে আপাতত এসব সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি