বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) গবেষণা ক্ষেত্রে অনন্য সাফল্যের নজির স্থাপন করেছে। ২০২৪ সালে স্কোপাস ইনডেক্স জার্নালের প্রকাশিত র‍্যাংকিং অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষক ও একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিশ্বের সেরা গবেষকদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

সম্প্রতি এ র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে র‌্যাংকিংয়ে স্থান পাওয়া কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন, মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. তানভীর রহমান, যিনি গত বছর ২০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

এরপরই তালিকায় রয়েছেন, কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান। তারা উভয়েই গত বছর ১৮টি করে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

এছাড়া আরও কয়েকজন স্বনামধন্য গবেষক মানসম্মত জার্নালে তাদের গবেষণা প্রকাশের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।

তারা হলেন- একোয়া কালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলজার হোসেন ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসমত আরা বেগম, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান ও সাবেক ছাত্র মো. ইমরান হোসাইন। 

এ অসাধারণ সাফল্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বাকৃবির এ অর্জন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ক্ষেত্রের উৎকর্ষ ও বিশ্বে আমাদের অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে। আমাদের শিক্ষক ও গবেষকরা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এ মাইলফলক অর্জন করেছেন। আমি আশাবাদী, এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সবার একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা আমাদের গবেষণা খাতকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। একত্রে কাজ করে আমরা বাকৃবির গৌরব আরও সমৃদ্ধ করব।”

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ