‘জেনেশুনে প্রতিক্রিয়া দেখালে ভালো হতো’
Published: 14th, January 2025 GMT
হঠাৎ করেই ক্ষোভ-অসন্তোষ ঢাকার ক্লাবপাড়ায়। কারণ, বিসিবির গঠনতন্ত্রের সম্ভাব্য সংশোধনী।
বলা হচ্ছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে বিসিবির সাধারণ পরিষদ ও পরিচালনা পর্ষদে ক্লাবগুলোর প্রতিনিধিত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।
আজ সিসিডিএমের আওতাধীন ঢাকার বিভিন্ন লিগের ৭৬টি ক্লাবের ৬৭ জন প্রতিনিধি রাজধানীর একটি হোটেলে সভায় বসেছিলেন এটা নিয়ে। পরে তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গঠনতন্ত্রে প্রস্তাবিত সংশোধনী আনা হলে তাঁরা লিগ বর্জন করবেন। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে ক্লাব প্রতিনিধিরা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে দেখা করার কথাও বলেছেন।
এর আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনায় পরিচালক নাজমূল আবেদীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি করেছে বিসিবি। কমিটিতে নাজমূলের সঙ্গে সদস্যসচিব হিসেবে আছেন এনএসসির চেয়ারম্যানের পিএস সাইফুল ইসলাম। অন্য তিন সদস্য বিসিবির আইনি উপদেষ্টা কামরুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মাহদি ও এ কে এম আজাদ হোসেন।
সিসিডিএমের আওতাধীন ক্লাবগুলোর ৬৭ জন প্রতিনিধি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে মতবিনিময় সভা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।