শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
Published: 15th, January 2025 GMT
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে চার বছরের শিশু নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক নাজমুল হল শ্যামল এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত মেহরাজ একই গ্রামের আলী আশরাফের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেট দেওয়ার প্রালোভন দেখিয়ে নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন প্রতিবেশী যুবক মেহেরাজ। তিনি পরে শিশুটির মরদেহ নির্মাণাধীন একটি বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে লুকিয়ে রাখেন। সেদিন নাবিলাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আরো পড়ুন:
মানিকগঞ্জে বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা
ঝিনাইদহে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে খুন
পরদিন সকালে নাবিলার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনায় নাবিলার দাদা আবদুল আজীজ বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় নাম না জানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশী তদন্তের পর আসামি মেহরাজ হোসেন তুষারকে গ্রেপ্তার করে। দীর্ঘ শুনানির পর আজ নারী ও শিশু ট্র্যাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
নিহত নাবিলার মা হালিমা আক্তার বলেন, “গত সাত বছর ধরে মেয়ে হত্যার বিচারের জন্য আমি আদালতে ঘুরেছি। অবশেষে আসামি মেহরাজের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি সন্তুষ্ট। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় কার্যকর চাই।”
কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদিউল আলম সুজন জানান, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। আসামি মেহরাজ জবানবন্দীতে নাবিলাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যে রায় হয়েছে এতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে