দুই বছরের বেশি সময় ঝুলিয়ে রাখার পর শেষ পর্যন্ত ৭৩টি লস্কর পদে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইব্লিউটিএ)।

২০০২ সালে অনুষ্ঠিত এসব পদে নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করায় ক্ষুব্ধ এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। পুনর্নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ও আগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত নিয়োগের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিটের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন এসব নিয়োগপ্রত্যাশী।

গতকাল বুধবার ৭৩টি লস্কর পদের পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়। বিআইব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (মানবসম্পদ) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বশেষ কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও বয়সসীমা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করায় নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে উল্লিখিত ৭৩টি লস্কর পদে নিয়োগের লক্ষ্যে ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করা হয়েছে। 

তবে পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ক্ষেত্রে বিআইব্লিউটিএর এমন যুক্তি মানতে নারাজ নিয়োগপ্রত্যাশীরা। তারা বলছেন, বিগত সরকারের সময় ২০২২ সালে এসব পদের নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করা হলেও শুধু চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া  তখনকার প্রেক্ষাপটে বর্তমান সরকারের কোটা-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও বয়সসীমা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার কথা নয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা

আইপিএলে আরও ১০ থেকে ২০ ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে আলোচনাও করছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা। তবে সবটাই সম্প্রচার স্বত্বের আগ্রহের ওপর নির্ভর করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইপিএল এখন ১০ দলের লড়াই। ২০২২ সালে দুটি নতুন ফ্রাঞ্চাইজি আনা হয়। গুজরাট ও লক্ষ্নৌ আসায় প্রতি মৌসুমে ৭৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইপিএল কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা ছিল ২০২৫ মৌসুম থেকে ম্যাচ বাড়িয়ে ৮৪তে নিয়ে যাওয়ার।

কিন্তু সম্প্রচার স্বত্বের অনীহার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। ক্রীড়া ভিত্তিক টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, একই সময়ে আইপিএলসহ অন্যান্য ক্রীড়া ইভেন্ট থাকে। একটার পর একটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থাকে। আইসিসির ইভেন্ট থাকে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত আইসিসি ফিউচার ট্যুর ও টুর্নামেন্ট সূচি থাকায় প্রস্তাবিত ৮৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট সম্ভব হয়নি। ২০২৭ সাল পর্যন্তও এটা সম্ভব হবে না।

তবে ২০২৮ সালের আসরে ৯৪ ম্যাচের আইপিএল ইভেন্ট মাঠে নামানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। যদিও কোন নতুন দল আনার পরিকল্পনা নেই তাদের। আইপিএলকে ১০ দলের টুর্নামেন্টেই রাখতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা হলো- গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজন করা। যাতে প্রতিটি দল হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়।

আইসিসির চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, ‘অবশ্যই, এটা একটা সুযোগ। আমরা আইসিসি ও বিসিসিআই-এর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। যেহেতু ভক্তদের আগ্রহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসির ইভেন্ট থেকে সরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দিকে যাচ্ছে, এটা কাজে লাগানোর দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য। আমরা গুরুত্ব সহকারে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। ক্রিকেটের প্রাণ ভক্ত। তাদের চাওয়ার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

ধুমাল জানান, তারা আইপিএলের জন্য বড় একটা ফাঁকা সময় আইসিসির কাছে চান। ফ্রাঞ্চাইজির চাওয়া গ্রুপ পর্বের মতো প্লে অফেও হোম এন্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ। সেক্ষেত্রে ৯৪ ম্যাচের টুর্নামেন্ট চাওয়া আইপিএল কর্তৃপক্ষের। অনেক খেলা থাকায় এখনই সেটা সম্ভব নয়। তবে সম্প্রচার মাধ্যম মনে করছে, আইপিএল মাঝপথে গিয়ে দর্শকের আগ্রহ হারায়। যে কারণে ম্যাচ ও সময় বাড়ালে এর আকর্ষণ ধরে রাখা নিয়ে সন্দিহান টিভি চ্যানেলগুলো।

আইপিএল শুরু হয় ২০০৮ সালে। তখন এটি ৪৪দিনের টুর্নামেন্ট ছিল এবং ম্যাচ ছিল ৫৯টি। ২০১১ সালে ১০ দলের টুর্নামেন্ট হয় ৫০ দিনে। ম্যাচ ছিল ৭৪টি। পরের দুই আসরে ছিল ৯ দল। ম্যাচ হয়েছিল ৭৬টি করে। ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ দলের টুর্নামেন্ট হয়েছে। ম্যাচ হয়েছে ৬০টি করে। টুর্নামেন্ট ৪৬ থেকে ৫২ দিনের মধ্যে রাখা হয়েছিল। ২০২২ থেকে ১০ দলের টুর্নামেন্টে আবারো ৭৪টি করে ম্যাচ খেলানো হচ্ছে। ৬০ থেকে ৬৪ দিনে গড়িয়েছে টুর্নামেন্ট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিট রিজার্ভও ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ ভোজ্যতেল পাওয়ায় বাধা খোলা ড্রাম
  • খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়
  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা