বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে শৈশবে ফিরলেন মির্জা ফখরুল
Published: 16th, January 2025 GMT
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাল্যবন্ধুদের কাছে পেয়ে গতকাল বুধবার যেন ফিরে গিয়েছিলেন নিজের শৈশব-কৈশোরে। ঠাকুরগাঁও শহরের জগন্নাথপুর এলাকার হাওলাদার হিমাগার চত্বরে গতকাল মিলনমেলার আয়োজন করেন তাঁর বাল্যবন্ধুরা। সেখানে গিয়ে শৈশব-কৈশোর কাটানো বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা, গান-আড্ডায় মেতে ওঠেন প্রখ্যাত এ রাজনীতিবিদ।
অনুষ্ঠানে স্কুলজীবন ও কৈশোরের স্মৃতিচারণ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বন্ধুদের। প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণ করে এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুতও হয়ে পড়েন। তিন বলেন, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুদ্দুস আমাদের মধ্যে থেকে অনেক আগেই চলে গেছে। মনোয়ার চলে গেছে, অথচ যার সঙ্গে দিনে একবার দেখা না হলেই খারাপ লাগত। শিক্ষকদেরও স্মরণ করেন তিনি।
আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমি শৈশব-কৈশোর, স্কুল ও কর্মজীবনের সহযোগী অনেকের সঙ্গে আড্ডা দিলাম। মনে হলো, নতুন জীবন ফিরে পেলাম। এ দিনটির কথা বহু দিন মনে থাকবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।